২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

২০২৩ সালের মধ্যেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে তুরস্ক

২০২৩ সালের মধ্যেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে তুরস্ক - সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যেই তুরস্ক তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। দেশটি তখন পুরো অঞ্চলের ভবিষ্যতকে একটি আকার দিতে সক্ষম হবে।

তিনি আরো বলেন, তুরস্ক এখন নতুন বিজয় এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আমাদের ইতিহাসের সকল অংশ জুড়েই আমরা বর্তমান সময়ের মত তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি যারা আমাদের প্রতি অন্যায় ও অবিচার করেছে এবং যারা তাদের আশা আকাঙ্খাকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই মহনুভবতা আমাদের দেশের জন্য দুর্বলতা নয় বরং তা আমাদের জন্য শক্তির উৎস। ২০২৩ সালের মধ্যেই তুরস্ক তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে এবং আমরা তখন আমাদের দেশ সহ পুরো অঞ্চলের ভবিষ্যতকে একটি আকার দিতে সক্ষম হবো।।

এরদোগান বলেন, আমি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের একচ্ছত্র অধিপতি গাজী মুস্তাফা কামালকে স্মরণ করতে চাই এবং সাথে সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলকে স্মরণ করতে চাই যারা আমাদের দেশের জন্য স্বাধীনতা এনেছিল। আমি তাদের সকলের আত্মার মাগফেরাতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। সামনে আসন্ন ঝড় যতই কঠিন হোক না কেন আমাদের সামনে সফলতার দ্বার সবসময় উন্মুক্ত থাকবে। আমি বিশ্বাস করি বর্তমানের মতই তুরস্ক নতুন বিজয় এবং নতুন সফলতার ধারা অব্যাহত রাখতে পারবে। আমরা অবশ্যই একসাথে বিজয়ী হবো তাদেরকে সাথে নিয়ে যারা তুর্কি জনগণ এবং তুর্কি জাতির প্রতি বিশ্বাস রাখে।

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান- দুটোই চায় তুরস্ক
ডেইলি সাবাহ, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ‍যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-৩৫ ফাইটার জেট- দুটোই দরকার তুরস্কের। এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির 
প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। শুক্রবার তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেয়া কোন সিদ্ধান্ত মানবে না তুরস্ক। প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কেনার বিষয়টির শুরু থেকেই বিরোধীতা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন তুরস্কের, যে কারণে আমরা চুক্তি করেছি। দ্রুতই এটি আমরা আনব। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যৌথ উদ্যোগে তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্পের অংশীদার তুরস্ক, এটিও প্রয়োজন আমাদের। ইতোমধ্যেই এজন্য আমরা ৯ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছি এবং নিয়মিত কিস্তির অর্থ পরিশোধ করে চলছি।’ তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ডেলিভারি না দেয় অন্য কোথাও থেকে তা কিনবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সদস্য তুরস্ক কেন রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে সেটি নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধীতা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে রাশিয়ার এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সমরাস্ত্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক পিকেকে গোষ্ঠিকে সমর্থন, তুরস্কের রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক বিরোধসহ অনেক বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ও এরদোগান প্রশাসন পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। অথচ দীর্ঘ ছয় দশক ধরে দেশ দুটির মিত্রতা।

এরদোগান বলেন, তুরস্কের যখন প্রয়োজন তখন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো খোঁড়া অজুহাতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে; কিন্তু আমরা যখন অন্য কোন জায়গা থেকে অস্ত্র কিনতে চাই তখন তারাও বিক্রি করতে চায়। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যখন তুরস্কের কিলিস, গাজিয়ানতেপ, রেহানলি, কিরিখান প্রদেশগুলোতে সিরিয়া থেকে ১২৭টি রকেট, কামান ও মর্টারের গোলা ছোড়া হয়েছে তখন তারা কী করেছে। আমাদের ৭ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে শতাধিক। তারা তখন তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement