২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছাদহীন মসজিদে ৫৫৭ বছর ধরে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা

ছাদহীন মসজিদে ৫৫৭ বছর ধরে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা - সংগৃহীত

তুরস্কের উত্তর-পূর্ব কার্ডগার একটি মসজিদ ছাদহীন। গোমুশ খানা এবং ট্রাভজোনের প্রাদেশিক সীমানায় মসজিদটি অবস্থিত। কখনোই মসজিদটির ছাদ নির্মাণের পরিকল্পনা কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ছাদহীন ওই মসজিদেই সেখানকার মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেন ৫৫৭ বছর ধরে। 

মসজিদটির উন্মুক্ত ছাদ দিয়ে কোমল বায়ু মুসল্লিদের শিহরিত করে। দুটি মিনার মসজিদটিকে একটি আধ্যাত্মিক রূপ দিয়েছে। মসজিদের মেঝে সবুজাভ ঘাসে আচ্ছাদিত। তবে মসজিদের চারপাশে সামান্য উঁচু করে ঘেরাও দেয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মসজিদটির উচ্চতা ৮০০ মিটার উঁচুতে।

প্রতি গ্রীষ্মে ভ্রমণপ্রেমীরা পরিবারসহ ট্র্যাভজোন, জার্সন, গোমশ খানা, কার্ডগা রিসোর্টে সফর করে থাকেন। ৫৫৭ বছরের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে পছন্দ করেন তারা।

মসজিদের ইমাম আকিফ ইয়াজজি বলেন, গ্রীষ্মের মাসগুলিতে এই অঞ্চলের ‘দারুল ইফতা’ মসজিদের জন্য একজন সাময়িক ইমাম নিযুক্ত করে দেয়। মসজিদটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বলা হয় ট্রাভজোন বিজয়ের সময় সুলতান আল-ফাতেহ তার সৈন্যদের নিয়ে এখানে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন। সে সময় একটা স্বপ্ন দেখার পর সুলতান পাথরের সাহায্যে নামাজ আদায়কৃত জায়গার চারপাশে ঘেরাও করার আদেশ দিয়েছিলেন। যেন জায়গাটি নির্ধারিত ও আলাদা থাকে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত শুক্রবার মসজিদটিকে জুমার নামাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। 

জাপানে মোবাইল মসজিদ
 ২৪ জুলাই ২০১৮

২০২০ সালে জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে। আর এই অলিম্পিককে সামনে রেখে দেশটির সরকার ‘মোবাইল মসজিদ’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বৈশ্বিক এই ইভেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে একটি ‘মোবাইল মসজিদ’ তৈরিও করেছে জাপান সরকার।

এই মোবাইল মসজিদ বানাতে চার বছর লেগেছে। একটি ২৫ টন ট্রাককে একটু মডিফাই করে সেটিতে নামাজের জন্য ৪৮ স্কয়ার মিটার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। ওই জায়গায় একসঙ্গে ৫০ জন নামাজ পড়তে পারবেন। এমনকি এই মোবাইল মসজিদের ভেতর ওজুর জন্য পানি রয়েছে। কিবলার দিকও নির্দেশ করা আছে।


মোবাইল মসজিদ আইডিয়ার জনক টোকিওর বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী ইয়াসুহারু ইনোইউয়ে। এর আগে ২০০৪ সালে এথেন্সে ২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবাথ তৈরি করে ছিলেন। এরপর ২০১২ সালে লন্ডন গেমসে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেন তিনি। গ্রেট ইস্ট জাপান ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।

তবে কাতারে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে মোবাইল মসজিদ বানানোর এই আইডিয়া তার মাথায় আসে। তিনি বলেন, নামাজ মুসলমানদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নামাজ পড়ার আরামদায়ক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে আমি মুসলমানদের ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।

জাপানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০টি মসজিদ রয়েছে। তবে ‘মোবাইল মসজিদ’-এর মাধ্যমে যেমন অলিম্পিকের মতো বড় আসরের প্রচারণা ও প্রসার কাজ চলছে তেমনি এই ধারণা মুসলমানদের মধ্যে জনপ্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল