২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নিজস্ব প্রযুক্তিতেই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানাচ্ছে তুরস্ক

নিজস্ব প্রযুক্তিতেই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানাচ্ছে তুরস্ক - সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি দেশ নিজস্ব প্রযুক্তিতে যুদ্ধাস্ত্র তৈরিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে তুরস্ক। দেশটি ইতিমধ্যেই নিজস্ব প্রযুক্তিতে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করেছে।

বর্তমানে তুরস্ক নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করছে যুদ্ধ বিমান। তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাতের জাতীয় তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক কারখানায় এ বিমান তৈরি করা হচ্ছে। এটির এখনো কোনো নাম দেয়া হয়নি। আগামী ২০২৩ সালে এ বিমান আকাশে উড়বে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। 

তুরস্কে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্টান বেকার মানিকা এর চিফ প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকর্তা সেলকুক কেরাক্তার বলেন, তুরস্কের যুদ্ধবিমানটি নির্মানের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি ২০২৩ সালে এটি ব্যবহার করা যাবে।

যুদ্ধাস্ত্র মানেই ইউরোপ বা আমেরিকায় তৈরি, অত্যধুনিক ও  দামি প্রযুক্তিতে তৈরি সরঞ্জাম। উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর কোটি কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করে উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশগুলোর কাছে। বিশ্বের খুব কম দেশই অস্ত্র তৈরি করে। আর আধুনিক অস্ত্র তৈরিকারী দেশের সংখ্যা একেবারেই কম।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি উপেক্ষা করেই এস-৪০০ ক্রয় করবে তুরস্ক
ডেইলি সাবাহ 

রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি থেকে তুরস্ক সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইবরাহিম কালিন। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে এস-৪০০ মিসাইল না কিনতে হুমকি দিয়েছে। খবর ডেইলি সাবাহর।

ইবরাহিম বলেন, তুরস্ক একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে তার নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তুরস্ক নিজেই তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ‍নিবে। কার কাছ থেকে কি ধরণের প্রতিরক্ষা গ্রহণ করবে তার সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার শুধুই তুরস্কের নিজস্ব ব্যাপার।

প্রেসিডেন্টেন মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুর্কি সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তুরস্ক কারোর সাথে এমন কোন চুক্তি করেনি যাতে করে তুরস্কের সার্বভৌমত্বের উপর বাধা আসবে।

মুখপাত্র আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে দুদেশের সম্পর্কের মধ্যে প্রভাব পড়বেনা। এমন কোন ঘটনা ঘটলে তুরস্কও যথাযথ পদক্ষেপ নিবে বলে জানান তিনি।

এখান থেকে ফিরে যাওয়ার কোন উপায় নেই, ইতোমধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর সম্পন্ন হয়ে গেছে। এস-৪০০ মিসাইল আগামী বছর আসবে। প্রযুক্তি আমদানিও অন্যতম একটি বিষয়। আমরা শুধু প্রযুক্তি অর্জন বা ব্যবহার নয় আমরা এগুলো উৎপাদনও করতে চাই বলেছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র।

ইবরাহিম আরো বলেন, তুরস্ক প্যাট্রিয়ট মিসাইল বা অন্যান্য পশ্চিমা প্রযুক্তির ব্যবস্থা নিতে পারে যদি তারা প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করে।

এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আঙ্কারাকে হুমকি দেয়া হয়েছে যে, যদি তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল ক্রয়ের চুক্তি থেকে ফিরে না আসে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে লকহেড মার্টিন এফ-৩৫ ফাইটার জেট চুক্তি থেকে সরে আসবে।

গত ডিসেম্বরে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্রয়ের জন্য সরকারিভাবে ২.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিস্বাক্ষর করে। এস-৪০০ রাশিয়ার তৈরি বতর্মানে সর্বাধুনিক অন্যতম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ন্যাটো দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম তুরস্কই এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেতে যাচ্ছে।

এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আঙ্কারা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে যাচ্ছে।তুরস্কের পাশের দুই সীমান্তবর্তী দেশ ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধাবস্থা এবং পিকেকে ও দায়েশের সাথে বিভিন্ন সংঘর্ষ থেকে দেশকে সুরক্ষার জন্য তুরস্ক সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।

এছাড়াও তুরস্ক তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ করতে চায়। এজন্য তারা বিভিন্ন দেশের সাথে নির্মাণ প্রযুক্তির কৌশল বিনিময় করতে চায়। এস-৪০০ ব্যবস্থাটির সম্পর্কে ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম জানা যায়। এটা রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রাশিয়া এখন পর্যন্ত শুধু চীন এবং ভারতের কাছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তুরস্ক ২০২০ সালে এস-৪০০ পেতে পরে।


আরো সংবাদ



premium cement