১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে তুরস্ক 

সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে তুরস্ক  - ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের সেনাবাহিনীকে প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বাধীনে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। বুধবার বেসরকারি প্রচারমাধ্যম ‘সিএনএন টার্ক’ এরদোগানকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে।
এরদোগান সোমবার সাবেক চিফ অব স্টাফ হুলসি আকারকে তার প্রতিরামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। সিএনএন টার্কের খবরে বলা হয়, ব্রাসেলসে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এরদোগান এই তথ্য জানিয়েছেন।

গত মাসের ২৪ জুনের নির্বাচনে এরদোগান তার সবচেয়ে বড় নির্বাচনী চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হন। এই নির্বাচন তাকে কার্যনির্বাহী মতা প্রদান করেছে। নতুন ব্যবস্থায় ৬৪ বছর বযসী এরদোগান রাষ্ট্রীয় নির্বাহী শাখাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই ভাইস প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ঊর্ধ্বতন বিচারপতিদের নিয়োগ কিংবা বরখাস্ত করার অধিকারী হবেন। এ ছাড়া পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার মতাসহ কার্যনির্বাহী আদেশ জারি করা এবং জরুরি অবস্থা আরোপ করার মতা পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট। নতুন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পদের বিলুপ্তি ঘটেছে। আধুনিক তুর্কি ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা এরদোগান প্রতিজ্ঞা করে বলেছেন যে, তুরস্ককে শক্তিশালী করতে তার প্রচেষ্টা থেকে তিনি বিরত থাকবেন না।

আরো পড়ুন

ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্পের বিষোদগার রাশিয়ার অনুগত হয়ে পড়েছে জার্মানি
গার্ডিয়ান ও বিবিসি

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প :এএফপি -
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার অনুগত হয়ে পড়েছে জার্মানি; কারণ তাদের কাছ থেকে জ্বালানি আমদানি করছে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জিন্স স্টলটেনবার্গকে এ কথা বলেন ট্রাম্প। গতকাল বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো প্রধানের সাথে বৈঠকের আগে রাশিয়ার কাছ থেকে জার্মানির তেল ও গ্যাস আমদানির তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, মস্কোর সাথে জার্মানি যখন গ্যাসের চুক্তি সমর্থন করছে, তখন রাশিয়া থেকে ইউরোপের সুরায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ খরচ করাটা কি ‘খুবই অযৌক্তিক’ নয়?


সকালের নাশতার সময় সাাতে স্টলটেনবার্গকে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রাশিয়াকে হাজার হাজার বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এবং আমরা সেই রাশিয়ার হুমকি থেকে সুরা দিচ্ছি জার্মানিকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘জার্মানির রাশিয়ার অনুগত হয়ে পড়াটা আমার কাছে উদ্বেগের। কারণ দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি আমদানি করছে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের আপত্তি সত্ত্বেও বাল্টিক সাগর হয়ে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহে রাশিয়ার পাইপলাইন বসানোর কাজে সমর্থন দিচ্ছে বার্লিন। এই পাইপ বসানোর কাজ শেষ হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই ব্লক পুরোপুরি রাশিয়ানির্ভর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে এবার ন্যাটো সম্মেলনেও বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে গত মাসে কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে গিয়ে তিনি একই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন। এমনকি ওই সম্মেলন থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছিল তাতে তিনি সম্মতি দেননি।

তিনি তার আগেই দলবল নিয়ে পাড়ি দেন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাথে বৈঠক করতে। তিনি এবার ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলস পৌঁছে প্রথমেই টার্গেটে পরিণত করলেন জার্মানিকে। ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার সাথে জার্মানি যে গ্যাস চুক্তি করেছে তাতে বার্লিন পুরোপুরি মস্কোর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তার ভাষায় ‘আমি যত দূর জানি, জার্মানি রাশিয়ার অনুগত হয়ে পড়েছে। কারণ তারা রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল জ্বালানি পাচ্ছে। আমরা জার্মানিকে রা করতে প্রস্তাব করেছিলাম; কিন্তু তারা গ্যাস কিনছে রাশিয়ার কাছ থেকে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করুন। এটার কোনো ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ তারা রাশিয়াকে গ্যাস কেনা বাবদ শত শত কোটি ডলার বিল দিচ্ছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের উচিত জার্মানির পক্ষ নেয়া।’ 

ওই নাশতার টেবিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন ন্যাটো মহাসচিব। এ সময় তিনি ট্রাম্পকে ন্যাটোর অভিন্ন উদ্দেশ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। জেনস স্টলটেনবার্গ তাকে বলেন, ন্যাটো হলো ২৯টি জাতির জোট। এতে মাঝে মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকবে। কিছু অমতও থাকবে। এ েেত্র রাশিয়া থেকে জার্মানি পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন হলো মিত্রদের মধ্যে ওই রকম একটি বিষয়। কিন্তু ন্যাটোর শক্তি বলে, এমন পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা সব সময়ই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সম। পারস্পরিক সুরা, একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো এসবই হলো ন্যাটোর মূল কাজ। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, বিচ্ছিন্ন অবস্থার চেয়ে একত্র হলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

এ সময় তিনি ট্রাম্পকে বুঝিয়ে দেন যে, স্নায়ু যুদ্ধের সময় রাশিয়ার সাথে কী আচরণ করেছে ন্যাটোর মিত্ররা। ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জার্মান প্রতিরামন্ত্রী উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি বলেন, কোনো সংশয় ছাড়াই রাশিয়ার সাথে আমাদের প্রচুর ইস্যু আছে। অন্য দিকে বিভিন্ন দেশ, মিত্র ও বিরোধীদের সাথে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই যোগাযোগ রাখা উচিত।


আরো সংবাদ



premium cement
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২

সকল