২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ২০০০ কোটি ডলার 

মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ২০০০ কোটি ডলার  - ছবি : সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে ২ হাজার কোটি ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ওই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলার আর্থিক সহযোগিতা দেবে বেইজিং। 

মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবনের জন্য চীনা প্রেসিডেন্টের ‘অয়েল অ্যান্ড গ্যাস প্লাস’ প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ ও সহযোগিতা দেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার বেইজিংয়ে ২১টি আরব রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। গত কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোতে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চীন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বেল্ট অ্যান্ড রোড পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে আরব দেশগুলোর। এই নীতির আওতায় চীন কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক রুট নির্মাণ করা হবে। 

সম্মেলনে শি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি হলো উন্নয়ন। আমাদের একে অন্যের প্রতি আচরণ খোলামেলা হওয়া উচিত। মতপার্থক্যকে ভয় নয়, সমস্যা এড়ানো নয়। বরং পররাষ্ট্রনীতি ও উন্নয়ন কৌশল নিয়ে আলোচনা বৃদ্ধি করা উচিত।

চীনা প্রেসিডেন্ট জানান, ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেড় কোটি ডলার সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জর্দান, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে ৯০ কোটি ১০ লাখ ডলার সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। চীন ও আরব দেশগুলোর ব্যাংকগুলোর একটি কনসোর্টিয়ামকে ৩০০ কোটি ডলার দেওয়া হবে, যা আগামীতে গড়ে তোলা হবে।

ব্যাংক কনসোর্টিয়াম, আর্থিক সহযোগিতা ও ঋণের মধ্যকার সম্পর্ক কী হবে তা স্পষ্ট নয়। শি জানিয়েছেন, ঋণের অর্থ দিয়ে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও শিল্পের পুনর্জাগরণে একটি পরিকল্পনা করা হবে। যাতে তেল, গ্যাস, পারমাণবিক ও ক্লিন এনার্জির সহযোগিতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আরো পড়ুন :

চীনের সাথে উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
এএফপি

তাইওয়ান প্রণালীতে শনিবার দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর এক দিন পর এ ঘটনা ঘটল। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এ খবর জানিয়েছে। ফলে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনায় আরো মাত্রা যোগ হলে বলে মনে করা হচ্ছে। 
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন ও তাইওয়ানকে আলাদা করা নৌসীমায় শনিবার সকালে দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করে। ইউএসএস মাস্টিন ও ইউএসএস বেনফোল্ড নামের জাহাজ দু’টি শনিবার রাতেও আন্তর্জাতিক নৌসীমা হিসেবে পরিচিত এলাকায় অবস্থান করছিল বলে নিশ্চিত করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার আত্মবিশ্বাস তাদের রয়েছে বলেও দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন চারলি ব্রাউন বলেছেন, যুদ্ধজাহাজ দু’টি ওই এলাকা অতিক্রম করছে। তবে এর কৌশলগত তাৎপর্য নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেন, ‘মার্কিন নৌজাহাজগুলো দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে যেতে তাইওয়ান প্রণালী ব্যবহার করেছ। বহু বছর ধরেই এটি করা হয়ে থাকে।’ তবে এমন এক সময়ে এই যুদ্ধজাহাজ ওই নৌসীমায় প্রবেশ করল যেদিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আবার একই সময়ে বেইজিং ও তাইপের মধ্যেও চলছে উত্তেজনা।

শুক্রবার ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছেন মার্কিন প্রেসেডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে। বেইজিং একে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ‘বাণিজ্যিক যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছে।
স্বায়ত্তশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও তাদের একত্র রাখতে চায় বেইজিং।


আরো সংবাদ



premium cement