অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানে সমৃদ্ধ হচ্ছে তুরস্ক
- ১৮ জুন ২০১৮, ১৮:৪১
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মার্কিন এফ-৩৫ জঙ্গি বিমানের প্রথম চালান পাচ্ছে তুরস্ক। তুর্কি দৈনিক সাবাহ এ খবর দিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে তুরস্ককে ৩০টি বিমান দেয়া হচ্ছে।
তুরস্ক ১৯৯৯ সালে এক শ'টি এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর মধ্যে ৩০টি বিমান কয়েক দিনের মধ্যেই হস্তান্তর করা হবে। এ জন্য তুরস্ক সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরুদ্দিন জানকিলি বলেছেন, জঙ্গিবিমান ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তিতে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি আঙ্কারা পুরণ করেছে। এরইমধ্যে ৮০ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করা হয়েছে।
চুক্তি সইয়ের পর থেকেই আমেরিকার বেশ কয়েকজন আইন প্রণেতা তুরস্ককে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছে।
ইরানের বিরুদ্ধে কাউকে ইনজারলিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে দেব না : তুরস্ক
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে কোনো দেশকে ইনজারলিক বিমানঘাঁটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ইনজারলিক ঘাঁটি শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের জন্য ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে না।
ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য মার্কিন হামলার বিষয়ে ওয়াশিংটন যদি ইনজারলিক বিমানঘাঁটি ব্যহারের দাবি করে তাহলে তুর্কি সরকার কী করবে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইলদিরিম এসব কথা বলেছেন।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬৬৩ সালে কাসরে শিরিন চুক্তি হওয়ার পর থেকে ইরান ও তুরস্কের মধ্যে কোনো যুদ্ধ হয় নি।
ইনজারলিক ঘাঁটি হচ্ছে তুরস্কের আদানা প্রদেশে অবস্থিত একটি বিমানঘাঁটি এবং সেখানে আমেরিকাসহ কথিত আন্তর্জাতিক জোটের সেনা ও বিমান মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকে সিরিয়ায় তৎপর দায়েশের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো হয় বলে ওয়াশিংটন দাবি করে থাকে। তবে আইএসের বিরুদ্ধে এ জোটের হামলার তেমন কোনা নমুনা আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি।
যে কারণে এস-৪০০ কিনবে তুরস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণেই রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্ক এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তুর্কি বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল এরদোগান কারাকুন এ কথা বলেছেন।
রুশ স্পুতনিক সংবাদ সংস্থাকে তিনি আরো বলেন, রুশ-তুর্কি সম্পর্ক বিস্তারের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপর প্রভাব পড়বে। এতে এ অঞ্চলে আরো সংকট সৃষ্টি হওয়াকে হয়ত প্রতিহত করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান তুরস্ককে দেয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় আঙ্কারাকে বিকল্প সামরিক সহযোগিতার পথ বেছে নিতে হয়েছে। পাশাপাশি তুরস্কের নিজস্ব যুদ্ধবিমান তৈরির প্রচেষ্টা ব্রিটেনের বিরোধিতার মুখে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র সহযোগিতার উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা