১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান হাতে পাচ্ছে তুরস্ক, সামরিক সক্ষমতায় আরেক ধাপ অগ্রগতি

সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান হাতে পাচ্ছে তুরস্ক, সামরিক সক্ষমতায় আরেক ধাপ অগ্রগতি - সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ আগামী ১২ মাসের মধ্যে পেতে যাচ্ছে তুরস্ক। ২০১৪ সালে এফ-৩৫ এর ৩০টি বিমান অর্ডার দিয়েছিল তুরস্ক সরকার। আরও ৭০টির অর্ডার দেয়ার চিন্তা রয়েছে। প্রতি বছর ১০টি করে যুদ্ধবিমান পাবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে, যা শুরু হবে ২০১৯ সালের শুরুতেই।

জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার নামের একটি প্রকল্পে আওতায় ১০টি দেশ মিলে কয়েক ডিজাইনে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নির্মাণ করছে। উদ্যোক্তা দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কও রয়েছে।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি মুহূর্তের মধ্যে মাটি থেকে সরাসরি উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারে। এজন্য লম্বা রানওয়ের প্রয়োজন হয় না।  প্রকল্পে যে কয়টি তুর্কি অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে তাদের লভ্যাংশ ১২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে।

তুরস্ক খুব শিগগিরই তার নিজস্ব ইঞ্জিন উৎপাদন করবে: এরদোগান
তুরস্ক খুব শিগগিরই তার নিজস্ব ইঞ্জিন উৎপাদন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

বুধবার রাতে স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাত্কারে এরদোগান বলেন, ‘তুরস্ক বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ইঞ্জিন উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করছে।’

দেশটির ইতিহাসে প্রথম নিজস্ব অটোমোবাইল উৎপাদনের পাক্কালে এরদোগানের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য এলো। এটি ২০২১ রাস্তায় দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি দেশটির জিডিপিতে ৫০ বিলিয়ন ইউরো অবদান রাখবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

এরদোগান বলেন, তার ক্ষমতাসীন জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ক্ষমতার আসার পর তুরস্কের স্থানীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের উৎপাদন ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশে বৃদ্ধি করেছেন।

তিনি জানান, তার দেশ এখন বিদেশি উৎসের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল নয় এবং তারা এখন নিজস্ব ড্রোন এবং রাইফেল তৈরি করছে।


এরদোগান বলেন, ‘উপরন্তু, আমরা এখন ট্যাংক তৈরি করছি এবং সময়ের আবর্তে তা ব্যাপকহারে উৎপাদন শুরু হবে।’

সম্প্রতি চালু হওয়া ট্রান্স- আনাতোলিয়ান প্রাকৃতিক গ্যাস লাইনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন এরদোগান। প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য এই পাইপ লাইনটি তুর্কি-জর্জিয়া সীমান্ত থেকে তুর্কি-গ্রিক সীমান্ত পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে এবং এটি তুরস্ক ও ইউরোপীয় দেশগুলিতে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

এছাড়াও, এরদোগান ‘তুর্কি স্ট্রিম ন্যাচারাল গ্যাস’ পাইপলাইনের বিষয়টিও উল্লেখ করেন, যা রাশিয়া থেকে কৃষ্ণ সাগরের নীচ দিয়ে তুরস্কের থ্রেসের গ্যাস বহন করবে।

প্রকল্পটির জন্য আঙ্কারা ও মস্কোর মধ্যে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ৭ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

এরদোগান বলেন, ‘এ সব বিষয় তুরস্ককে গ্যাস সরবরাহের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। আমরা এখান থেকে ইউরোপে গ্যাস বিতরণ করছি।’ 


আরো সংবাদ



premium cement
বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি

সকল