২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে কারণে এস-৪০০ কিনবে তুরস্ক

যে কারণে এস-৪০০ কিনবে তুরস্ক - সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণেই রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্ক এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তুর্কি বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল এরদোগান কারাকুন এ কথা বলেছেন।

রুশ স্পুতনিক সংবাদ সংস্থাকে তিনি আরো বলেন, রুশ-তুর্কি সম্পর্ক বিস্তারের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপর প্রভাব পড়বে। এতে এ অঞ্চলে আরো সংকট সৃষ্টি হওয়াকে হয়ত প্রতিহত করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান তুরস্ককে দেয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় আঙ্কারাকে বিকল্প সামরিক সহযোগিতার পথ বেছে নিতে হয়েছে। পাশাপাশি তুরস্কের নিজস্ব যুদ্ধবিমান তৈরির প্রচেষ্টা ব্রিটেনের বিরোধিতার মুখে পড়েছে বলেও জানান তিনি।

তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র সহযোগিতার উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ইরাকে হামলা চালাতে প্রস্তুত তুরস্ক, অস্ট্রিয়াকেও হুঁশিয়ারি
সিএনএন ও ডেইলি সাবাহ 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান বলেছেন, কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে যদি ইরাক সরকার ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তার দেশ উত্তর ইরাকে হামলা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে। সিএনএন-তুর্ক অনুষ্ঠানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন।

এরদোগান বলেন, যে কোনো দিন সন্ধ্যায় তার দেশ উত্তর ইরাকের কান্দিল শহরে হামলা চালাতে পারে। সিনজার ও মাখমুর শহরেও সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে।

তুরস্কের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে ইরাকের সীমান্ত লঙ্ঘন করে পার্বত্য শহর কান্দিলে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কান্দিল শহরটি তুরস্ক সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ইরবিল প্রদেশে অবস্থিত।

 তুর্কি সামরিক বাহিনী উত্তর ইরাকে পিকেকে গেরিলাদের হাত থেকে ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা মুক্ত করেছে। পিকেকে গেরিলাদের তুরস্ক সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে।

এদিকে অস্ট্রিয়াতে বিদেশি অর্থায়নে চলা ৭টি মসজিদ বন্ধ ও ৬০ জন ইমামকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের অভিযোগ, এসব মসজিদে ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। শুক্রবার এই বন্ধের ও বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার প্রধান চ্যান্সেলর সেবাস্তিায়ান কার্জ।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার উগ্র ডানপন্থী দল এফপিও এবং ওভিপি জোট সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন টুইট করেছেন, ‘অস্ট্রিয়ার এমন সিদ্ধান্ত ইসলামবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক।’ 

এদিকে অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কার্জ বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনৈতিক ইসলাম ও কট্টোরপন্থার জায়গা নেই। তদন্ত সাপেক্ষ এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

জানা যায়, মসজিদগুলো তুরস্কের ইসলামিক কালচারাল অ্যাসোশিয়েশন অর্থায়নে চলছিলো। সরকার ২০১৫ সালের একটি আইনে মাধ্যেমে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এই আইনের মাধ্যেমে ধর্মীয় গোষ্ঠীদের বিদেশী অর্থায়ন গ্রহণ করতে পারবে না।

গত এপ্রিলের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চ্যান্সেলর এইসব মসজিদ বন্ধের হুমকি দিয়েছিলো। জানা যায়, ভিয়েনার এক মসজিদে তুর্কী পতাকা হাতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক ঘটনা তুলে ধরেছিল একদল শিশু। এই বিষয়টি নিয়েই অস্ট্রিয়ার সরকার ক্ষিপ্ত হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় গ্যালিপলির লড়াইয়ের এক দিকে ছিল জার্মানি ও তৎকালীন অটোম্যান তুরস্ক আর অন্যদিকে মিত্র পক্ষ। সেখানে তীব্র লড়াই চলে বহুদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে মিত্র পক্ষের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে সক্ষম হয় অটোম্যান বাহিনি। এই বিজয় এখনো উদযাপন করা হয় তুরস্কে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আধুনিক তুরস্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

ঠিক এই ঘটনাটিকেই ভিয়েনার এক মসজিদে এক অনুষ্ঠানে ফুটিয়ে তুলেছিল একদল শিশু। সেখানে তারা সামরিক ইউনিফর্ম পরে তুর্কী পতাকা হাতে মিছিল করে। এরপর যুদ্ধে গুলি খেয়ে মারা যাওয়ার ভান করে। এই অনুষ্ঠানের ছবি এবং খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ভীষণ ক্ষুব্ধ অস্ট্রিয়ার ডানপন্থী সরকার।

এর আগে গত অক্টোবরে অস্ট্রিয়ায় মুসলিম মহিলাদের প্রকাশ্য স্থানে পুরো মুখ-ঢাকা নিকাব বা বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হয়। সেবাস্টিয়ান কুর্জ গত ডিসেম্বরে অভিবাসন বিরোধি ফ্রিডম পার্টির সাথে কোয়ালিশন করে ক্ষমতায় আসে।


আরো সংবাদ



premium cement