২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাবাড়

-

গত পরশু দিন, এক বন্ধুর মামাতো বোনের বিয়েতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম ঝাক্কাসদাকে। বিয়ে বাড়িটিতে ছিল ধুমধাম পরিবেশ। সবাই ব্যস্ত বিয়ে নিয়ে। বিশেষ করে বিয়ে বাড়িতে আসা মহিলারা আর তরুণীরা ব্যস্ত হিন্দি রিমেক্স গানের তালে নাচ নিয়ে। আমিতো মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে এসব উপভোগ করছিলাম। কিন্তু বিরক্ত হলেন ঝাক্কাসদা। তিনি আমার হাত টেনে ধরে বললেন, চল ইমরান চল।
- মাত্রইতো আসলাম। এখনই চলে যাবো?
- থেকে কী হবে?
- কত সুন্দর নাচ হচ্ছে দেখতেছ না? এগুলো কী টিকিট কেটে দেখতে পারবা?
- এটাকে নাচ বলে না। নাশকতা বলে।
- কে বলছে তোমারে? এসব জ্ঞান পাও কই থেকে?
- ধানক্ষেত থেকে তুলে এনে ফ্রিজে জমিয়ে রেখে পাই।
আমি কোনো জবাব দিলাম না। ঝাক্কাসদা আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে আবার বললেন, এদের নাচ দেখে তো মনে হচ্ছে না মানুষ নাচতেছে।
- তাহলে কে নাচতেছে? এলিয়েন!
- নাহ। এদের নাচ দেখে মনে হচ্ছে কখনো টিকটিকি নাচছে। কখনো নাচছে খেকশিয়াল।
- আমি জানি দাদা তুমি ওভাবে নাচতে পারো না বলে তোমার হিংসে হচ্ছে! তাইতো যা তা বলে বেড়াচ্ছ।
- হিংসে করছি না। তুই কী জানিস বিয়ে বাড়িতে এসে মেহমানরা এভাবে নাচানাচি করে কেনো?
- তোমার কাছে বিজ্ঞান সম্মত কোনো যুক্তি আছে?
- হ্যাঁ আছে দেখেইতো বলছি।
- কী সেটা?
- নাচার ঢঙে এরা ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করে নেয়। যেন খুদাটা বেশি লাগে। পেট ভরে পোলাও গোশত খেয়ে যেতে পারে।

ঝাক্কাসদার কথাই শেষমেষ সত্য হয়েছিল। যাদেরকে নাচানাচি করতে দেখেছিলাম। তারাই খাবার টেবিলে নিঃশব্দে দু-তিন প্লেট পোলাও গোশত সাবাড় করে দিয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement