২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নায়াগ্রা জলপ্রপাতে বাঁধন

নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সামনে মেয়ের সাথে আজমেরী হক বাঁধন - ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

স্বপ্নের ট্রিপে এখন আমেরিকায় আজমেরী হক বাঁধন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ট্রিপের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে সর্বশেষ সংযোজন নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সামনে মেয়ে সায়রাকে নিয়ে তার উচ্ছ্বসিত ছবিটি।

এ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমেরিকায় এসেছি। তবে এবারের যাত্রা ভিন্ন। মেয়ে বই পড়ে, গল্প গুনে আমেরিকার কিছু জায়গা বিশেষ করে ডিজনিল্যান্ড আর নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার বায়না ধরেছিল। মা হিসেবে তার সেই ইচ্ছে পূরণ করাটা ছিলো চ্যালেঞ্জের। আমি সেটা পেরেছি তাই ভালো লাগছে। এক কথায় এটা একটা মায়ের জয়।

গত ৩০ মে মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান বাঁধন। শুরুতেই ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের রিভার সাইড, ওখান থেকে প্রাইভেট কারে দেড় ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে সান ডিয়াগো। মেয়ের ইচ্ছে পূরণের প্রথম সুযোগটা পেয়েছেন এখানেই। বিশ্ববিখ্যাত ডিজনিল্যান্ড যে এখানেই অবস্থিত। স্বপ্নপুরীর স্বপ্নের মতো লাল নীল আলোয় সাজানো ডিজনি ওয়ার্ল্ডের ম্যাজিক কিংডম।

ওখানকার অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডের গেটে রাতে ফায়ার ওয়ার্কের মাধ্যমে মিকি মাউস, পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ান, লিটল মারমেইড, স্নো হোয়াইট, ময়োনা এক কথায় ডিজনির সব বিখ্যাত চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বাঁধন গেছেন রচেস্টার। ওখান থেকে বাফোলায়। এই জায়গায়ই নায়াগ্রা জলপ্রপাত। ২২ জুন স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় মেয়েকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বাঁধন। তাদের সাথে ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের স্কুল অব হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান পারফরমেন্স’র সহযোগী অধ্যাপক ড. রেহনুমা করিম।

বাঁধন বলেন, আমি এখন ওনার রচেস্টার বাসায়ই আছি, এটা বাফোলার কাছে। আমেরিকায় শিক্ষকতার পাশাপাশি বাংলাদেশে ‘হিরোজ ফর অল’নামের একটি সংগঠনের আহ্বায়ক তিনি। আমি এই সংগঠনের একজন কর্মী। ২২ জুন নায়াগ্রা যাওয়ার পথে উনি ড্রাইভ করেছেন এবং পাশাপাশি এর ইতিহাস নিয়ে কথা বলেছেন। প্রথম যখন নায়াগ্রার সামনে গিয়ে দাড়িয়েছি, বর্ণনা দিয়ে বুঝানো যাবে না কতটা উল্লসিত ছিলাম আমরা মা-মেয়ে। ছবিতে বা ভিডিওতে নায়াগ্রা অনেকবার দেখেছি কিন্তু বাস্তবে আসার পর যে অনুভূতি হয়েছে তা কল্পনাতীত। চোখের সামনে বিস্ময়কর জলপ্রপাত। প্রকৃতির অপরূপ এই সৌন্দর্যে ডুবে যেতে ইচ্ছে জাগে।

বাঁধন বলেন, আমরা নৌকা করে একদম জলপ্রপাতের কাছে গিয়েছিলাম। মানে চোখের সামনে পানি পড়তেছে। কি যে অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করেছে! সব জায়গার ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। তবে সময়টা এনজয় করেছি। একসময় নাকি এই এলাকায় শিল্পকারখান গড়ে উঠে ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেখে সব সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আমার মেয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করে ওনারা পারে আমরা কেন পারি না।’

স্থানীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটায় বাসায় ফেরার আগে নায়াগ্রায় ফায়ার ওয়ার্কও তাকে মুগ্ধ করেছে।

বাঁধন বলেন, নায়াগ্রায় আমি দুইবার রংধনী দেখেছি। এই ভাগ্য সবার হয় না। বাঁধন বলেন এ পর্যন্ত আমি যে জায়গা গুলো ঘুরেছি তার মধ্যে রয়েছে, ডিজনি ল্যান্ড, ইউনিভার্সাল স্টুডিও, লাহোয়া বিচ, ইউএসএস মিডওয়ে মিউজিয়াম, নদীতে প্রমোদ ভ্রমন (রিভার ক্রোজ), লেগোল্যান্ড, সি ওয়াল্ড, সাফারি ওয়াল্ড, হলিউড, ডস লাগোস, দি বার্ড মিউজিয়াম, স্ট্রং মিউজিয়াম অব প্লে, এঞ্জেলস নেচারাল ফরেস্ট, লস এঞ্জেলস কান্ট্রি আরবোরেটাম অ্যান্ড বোটানিক গার্ডেন, ফরেস্ট ফলস ক্যালিফোর্নিয়া।

তিনি বলেন, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসির কিছু দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক জায়গায়ও যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী মাসের শুরুর দিকে দেশে ফিরবেন বলে জানান বাঁধন।


আরো সংবাদ



premium cement