২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

পঞ্চম অধ্যায় : মহানবী সা:-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবীর পরিচয়

-

প্রিয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ‘পঞ্চম অধ্যায় : মহানবী (সা:)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবীর পরিচয়’ থেকে ৪টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন : মদিনার সনদ কী?
উত্তর : মহানবী সা: মদিনায় হিজরত করে সেখানে একটি আদর্শ সমাজ ও আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেন। মদিনায় মুহাজির ও আনসারসহ সব মুসলমান এবং অন্য সব ধর্মাবলম্বীর লোক একত্রে মিলেমিশে সুখে
শান্তিতে নিরাপদে বাস করবে। তাদের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি বজায় থাকবে, স্বাধীনভাবে প্রত্যেকে নিজ ধর্মকর্ম পালন করতে পারবে এবং একই সাথে মদিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এই উদ্দেশ্যে মহানবী সা: সব সম্প্রদায়কে নিয়ে একটি লিখিত চুক্তি সম্পাদন করেন। এটিই ‘মদিনা সনদ’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন : হুদাইবিয়ার সন্ধি কী?
উত্তর : হিজরি ৬ সনে (৬২৮ খ্রি:) রাসূল সা: ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে ১৪০০ সাহাবিসহ মক্কা যাত্রা করেন এবং মক্কার ৯ মাইল দূরে হুদাইবিয়া নামক স্থানে উপনীত হন। কিন্তু কুরাইশরা তাদের ওমরাহ পালনে বাধা দেয়। রাসূল সা: জানালেন আমরা যুদ্ধের জন্য আসিনি, শুধু ওমরাহ করেই চলে যাবো, কিন্তু কুরাইশরা তাতেও রাজি হলো না। তখন রাসূল সা: মক্কাবাসীর কাছে ওসমান রা:-কে দূত হিসেবে প্রেরণ করেন। তাঁর ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তিনি শহীদ হয়েছেন বলে রব ওঠে। তখন রাসূল সা: এই হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার শপথ নেন। এতে কাফিররা ভয় পেয়ে ওসমান রা:-কে ফেরত দেয় এবং সুহাইল আমরকে সন্ধির প্রস্তাবসহ পাঠায়। তখন কাফির ও মুসলমানদের মধ্যে ১০ বছরের জন্য সন্ধি হয়। এটিই হুদাইবিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত।
প্রশ্ন : বিদায় হজ কাকে বলে?
উত্তর : হজরত মুহাম্মদ সা: দশম হিজরিতে জীবনের শেষ হজ পালন করলেন। এরপর তিনি আর হজ পালন করার সুযোগ পাননি। মহানবী সা:-এর জীবনের এই শেষ হজকেই বিদায় হজ বলা হয়।
প্রশ্ন : হজরত নূহ আ:-এর সময় কী আজাব এসেছিল?
উত্তর : হজরত নূহ আ: ছিলেন আল্লাহর একজন নবী। তিনি দীর্ঘ সাড়ে ৯০০ বছর পৃথিবীতে আল্লাহর দ্বীন প্রচার করেন। তার এই দীর্ঘ সময় ইসলাম প্রচারে মাত্র ৮০ জন স্ত্রী-পুরুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বাকিরা সবাই কাফিরই রয়ে যায় এবং তারা হজরত নূহ আ:-এর ওপর অনেক অত্যাচার করে। কাফিরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি তাদের ধ্বংস করে দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। আল্লাহ তার দোয়া কবুল করলেন এবং পৃথিবীতে এক আজাব নেমে এলো। প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টি হলো এবং প্রবল বন্যা দেখা দিলো। আল্লাহর হুকুমে নূহ আ: একটি নৌকা তৈরি করেছিলেন। যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল তারা নৌকায় উঠে বেঁচে গেল। আর যারা ঈমান আনেনি তারা সবাই পানিতে ডুবে মারা গেল।

 


আরো সংবাদ



premium cement