২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বৃষ্টিতে বোরো ক্ষেতে প্রশান্তির ছোঁয়া

বৃষ্টিতে বোরো ক্ষেতে প্রশান্তির ছোঁয়া - নয়া দিগন্ত

সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসলের ক্ষেতে প্রশান্তির ছোঁয়া দেখা দিয়েছে বৃষ্টিতে। বসন্তের শুরুতেই বৃষ্টির আগমন প্রকৃতিতে স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। বুধবার সুনামগঞ্জের আকাশে ছিলো মেঘাছন্ন। জানান দিয়েছিল, বৃষ্টিস্নাত হবে সুনামগঞ্জের জমিনে।

রাতেই জেলা সদরসহ জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, দিরাই, শাল্লা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জসহ জেলার উপজেলাগুলোতেই বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। বিগত কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জেলার সব ক’টি উপজেলায় ধুলোয় ধূসর ছিল রাজপথ। কিন্তু এক বৃষ্টিতেই গাঁয়ের পায়ে হাঁটার মেঠো পথ, হাট-বাজারের পুরো চেহারাও বদলে গেছে। যে সব বৃক্ষ নতুন পাতা গজাতে শুরু হয়েছে এক নিমিষেই সতেজতা ফিরে পেয়েছে, আর হাওরের বোরো ফসলের মাঠ সবুজ সতেজ হয়ে ওঠেছে বৃষ্টির কারণে। কৃষককের মুখে ফুটেছে মুচকি হাসি।

বছরে একটি মাত্র বোরো ফসলকে ঘিরেই হাওরাঞ্চলের মানুষের যত স্বপ্ন। বহু প্রতীক্ষা ও ত্যাগের পর কৃষকদের বছরজুড়ে থাকা অভাব-অনটন আর জমাট বাঁধা দুঃখ-কষ্ট পেরিয়ে এবার কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে তাদের মুখে।

সুনামগঞ্জের বোরো ফসল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিগত কয়েক মওসুমে ফসল হারিয়ে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নতুন ফসলের আসায় অনেক কৃষকই পথে বসে মহাজনি দাদন, চড়া সুদে কৃষি জমি আবাদ করে কোনো রকম দিনযাপন করছেন। সোনালি ফসল ঘরে তুলতে স্বপ্নেজাল বুনছেন তারা। প্রতি বছরের মতো এবারো হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প কমিটির (পিআইসি) চরম গাফিলতি লুটপাটের ধান্দায় সোনালি ফসল ঘরে ওঠবে কি-না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ফসল নির্ভর হাজার-হাজার কৃষক ও গৃহস্থ পরিবার।

নিয়ম অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা। অধিকাংশ বাঁধের কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। এ নিয়ে কৃষকদের মনে রয়েছে দুশ্চিন্তা।


আরো সংবাদ



premium cement