১৯৯৭ সালে নির্মাণের পর থেকে নিঃসঙ্গ এই ব্রিজ!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:২৫
সংযোগ সড়ক ছাড়াই ২২ বছর ধরে নিঃসঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে একটি ব্রিজ। এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবের জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও রাস্তা না থাকায় তাদের সেই কষ্ট আর লাঘব হয়নি।
জানা গেছে, ওই ব্রিজের সংযোগ সড়কের আশায় প্রায় ২ যুগ ধরে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন হাওরপাড়ের কয়েক সহস্রাধিক মানুষ। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের বড়দল ও কাড়েরা গ্রামসহ কাদিপুর ইউনিয়নের ছকাপনসহ কয়েক গ্রামের কৃষকরা শ্রীকন্টি বিল থেকে হাকালুকি হাওরে যাতায়াত করেন ওই পথে।
স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজটি নির্মাণের পর তারা আশান্বিত হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বয়ে চলা তাদের দুর্ভোগ লাঘব হয়নি। কবে যে হবে সেই ভরসাও দিচ্ছেন না কেউ। ব্রিজের উভয়পাশে রাস্তাটিতে পর্যাপ্ত মাটি ভরাটের মাধ্যমে নতুন করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলে ৫-৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত সমস্যা লাঘব হত বলে জানান তারা।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) স্বল্পব্যয়ী সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজ ও এক কিলোমিটার মাটির রাস্তা তৈরি করে। বেশ কিছুদিন এই ব্রিজ ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু পরবর্তীতে দফায় দফায় বন্যায় রাস্তাটি বিলীন হয়ে যায়। এরপর রাস্তাটিতে মাটি ভরাটের আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই রাস্তাটি হাওরে যাওয়ার একমাত্র পথ। আর হাওরই হচ্ছে তাদের জীবন জীবিকার অন্যতম মাধ্যম। তাই বাধ্য হয়ে ওই পথ ব্যবহার করতে হয় এবং বছরজুড়ে কষ্টের শিকার হতে হয়। সংযোগ সড়ক না থাকায় কৃষিজ পণ্য, মৎস্য ও গৃহপালিত পশু নিয়ে খাল দিয়ে নানা কষ্টে তারা পারাপার হন বলে জানান।
এ বিষয়ে ভূকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন, ‘ব্রিজ যেহেতু আছে সেখানে রাস্তা করা খুবই জরুরি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত যাতে সংযোগ সড়ক নির্মিত হয় সেই প্রচেষ্টা চলছে।’
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন খাত টিআর ও কাবিখা প্রকল্প থেকে এই রাস্তাটি নতুন করে মেরামত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সূত্র : ইউএনবি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা