২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুলাউড়ায় চা শ্রমিক-খাসিয়া সংঘর্ষে আহত ৭

- প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চা শ্রমিক ও খাসিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৭ জন। খাসিয়াদের হাতে চা বাগানের চৌকিদার মারধরের শিকার হওয়ার পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলার কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই চা বাগানে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে উপজেলার ঝিমাই চা বাগানের ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম অবৈধভাবে বাগানে প্রবেশের চেষ্টা ও বাগানের গেইটম্যানকে মারধর করার অভিযোগে কুলাউড়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে কতিপয় খাসিয়া ট্রাকযোগে মালামাল নিয়ে যাওয়ার জন্য ঝিমাই চা বাগানের গেইটের সম্মুখে যায়। এসময় গেইটম্যান জামাল মিয়া তাদেরকে ম্যানেজারের অনুমতি নিয়ে আসার জন্য বলেন। কিন্তু এতে খাসিয়ারা ক্ষিপ্ত হয়ে গেইটম্যান জামালকে লাথি, কিল ও ঘুষি মারসহ মারধর করে বাগানের নিচে নালায় (চড়া) ফেলে দেয়। এ খবরে বাগানের অন্যান্য শ্রমিকরা এসে খাসিয়াদের উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। আহতদের ৪ জন চা শ্রমিক ও ৩ জন খাসিয়া বলে জানা যায়। বাগানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কুলাউড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঝিমাই পুঞ্জির খাসিয়া রানা সুরং অভিযোগ করেন, তারা পুঞ্জিতে ঘরের জন্য টাইলস নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাগানের চৌকিদার বাধা দিলে সংর্ঘষ বাঁধে এবং আমার পুঞ্জির ৩ শ্রমিককে চা শ্রমিকরা আটক করে বাগানে নিয়ে যায়। পরে চা শ্রমিকরা জড়ো হয়ে আমাদেরকে ধাওয়া করে। এতে ৩ খাসিয়া আহত হয়েছেন।

ঝিমাই চা বাগানের ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম জানান, খাসিয়াদেরকে বাগানের রাস্তা দিয়ে গাড়ি ব্যবহারের ব্যবহারের পূর্বে বাগান কতৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জোরপূর্বক খাসিয়ারা গেইটের চৌকিদারকে মারধর করে ছড়ায় ফেলে দিয়ে জোরপূর্বক বাগানে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাগানের অন্যান্য শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া দেয়। এতে বাগানের ৪ জন শ্রমিক আহত হন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চৌকিদার জামালকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি ৩ জন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বুধবার দুপুরে জানান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement