তুহিন হত্যায় বাবার জড়িত থাকার কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না মা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ২১:০৭
মাত্র ১৬ দিন আগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন নিহত শিশু তুহিনের মা মনিরা বেগম। সন্তান প্রসবের পর এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। এর মধ্যে তুহিনের খুনের খবর শুনে বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।
তুহিন খুনের পর তিনি বাবার বাড়ি জকিনগরে চলে যান। কিন্তু ছেলে তুহিনের জন্য তার আহাজারী থামছেই না। ছোট্ট দেহে ছুরির আঘাতে নিহত তুহিনের খুনি তার বাবা আব্দুল বাছিরের নাম উঠে আসলেও কোনোভাবেই মনিরা বেগম বিশ্বাস করতে পারছেন না। তবে তিনি প্রকৃত খুনিদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে মনিরা বেগম বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমার স্বামী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তুহিন সব সময় তার বাবার পাশেই ঘুমাত। তাকে কোনোদিন ছেলেকে আঘাত করতে দেখিনি।’
তিনি বলেন, ‘গত রোববার রাতে খাওয়া শেষে বাবার পাশেই ঘুমায় আমার নিষ্পাপ তুহিন। শেষ রাতে তুহিনের চাচাতো বোন তানিয়া ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। এর মধ্যে তুহিনও ঘরে নেই। খোঁজাখুঁজি করে তুহিনকে বাড়ির পাশের রাস্তায় গাছের সাথে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমি চাই তুহিন হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করে ফাঁসি কার্যকর করা হোক।’
উল্লেখ্য, গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাজাউড়া গ্রামে রাতের আঁধারে ঘর থেকে তুলে নিয়ে শিশু তুহিনকে (৫) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশটি রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে লিঙ্গ কেটে নিয়ে যায়, দুটি কান কেটে একটি রাস্তায় ফেলে রাখে।
পরে তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মোছাব্বির, নাসির উদ্দিন, জমসেদ আলী ও চাচাতো ভাই শাহারিয়ারকে গ্রেপ্তর দেখানো হয়েছে। সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা