শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা, নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার
- কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ০২ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৪২
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া নিখোঁজের একদিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিশুর নাম পলাশ শব্দকর (৭)। সে উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিচিরি গ্রামের পরিমল শব্দ করের পুত্র ও শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশু পলাশ গত ৩১ জুলাই বুধবার সকাল ১১টায় নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে শিশুর বাবা পরিমল শব্দকর বুধবার বিকেলে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১৪৩৫) দায়ের করেন। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নিহত পলাশের লাশ কালিটি চা বাগান এলাকায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে একই এলাকার মির্জান আলী পুত্র জাহেদ আলীকে (১৫) আটক করে। আটককৃত জাহেদই পলাশের লাশ কালিটি চা বাগান এলাকা থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত জাহেদের পিতা মির্জান আলী (৪৫) ও চাচাতো ভাই চান মিয়ার পুত্র রাহেল আহমদকে (২৬) আটক করেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, মূলত পলাশকে বলৎকারের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আটককৃত জাহেদ ও রাহেল জানায়, বুধবার নিহত পলাশকে নিয়ে চা বাগান এলাকায় যায় তারা। সেখানে বড় একটি গাছে পাখির বাসা থেকে পাখির বাচ্চা এনে দিতে পলাশকে তারা গাছে তুলে দেয়। একপর্যায়ে পলাশ গাছ থেকে নামতে গিয়ে পা ফসকে নিচে পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে যায়। এসময় শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে জাহেদ ও রাহেল ভয়ে শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে চলে আসে।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, এলাকায় লোকমুখে বলাৎকারের বিষয়টি আলোচিত আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পিতা পরিমল শব্দকর বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করছেন।