২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তরুণীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ

- প্রতীকী ছবি

সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক তরুণীকে (১৯) জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশা করে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেছে এক লম্পট ধর্ষক। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আলাল হোসেন (২৫)কে আসামী করে মামলা নং-১৮ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে।

জানা যায়, তরুণী বৃহস্পতিবার বিকেল অনুমান ৫ ঘটিকার দিকে ব্রাক অফিস থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি অটোরিক্সায় উঠেন। এ সময় অটোরিকশায় অন্য কোন যাত্রী ছিলেন না। এই সুযোগে অটোরিক্সা চালক সিএনজি অটোরিকশা গন্তব্য স্থানের দিকে না গিয়ে অটোরিকশাটি ঘুরিয়ে গোলাপগঞ্জগামী করে হেতিমগঞ্জ চৌমুহনীর অদুরে থেকে আরো দুইজনকে যাত্রী সাজিয়ে অটোরিকশায় তুলে গোলাপগঞ্জের দিকে রওয়ানা দেন। এ সময় ওই তরুণী অটোরিকশা থেকে নামতে চাইলে তার পাশে বসা আলাল হোসেন জোরপূর্বক আটকে রাখলে তিনি অটোরিকশা থেকে নামতে পারেনি।

এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালক গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় পাহাড় বেষ্টিত স্থানে নিয়ে তাদেরকে নামিয়ে দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা চালক চলে যায়। এ সময় আলাল হোসেন ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরো দুই ব্যক্তির সহায়তায় রাতের আধারে নির্জন এলাকার একটি ভাঙ্গা খালি ঘরে নিয়ে আলাল হোসেন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গভীর রাতে লম্পট আলাল হোসেন স্থান পরিবর্তন করে অপর একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে ফের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এভাবে আলাল হোসেন জোরপূর্বক তরুণীকে রাতভর ধর্ষণ করে পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কোনাচর বাজারে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে ধর্ষক আলাল হোসেন পালিয়ে যায়।

ওই সময় ভিকটিমের চাচাত ভাই ফোন দিলে কোথায় আছে তিনি বলতে পারেননি। পরে বহনকারী অটোরিকশা চালক ভিকটিমের চাচাত ভাইকে বাউশি এলাকায় হস্তান্তর করলে তাকে গোলাপগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন ভিকটিমের পরিবার। রাত হওয়ায় থানা পুলিশ সকালে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতা গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষক আলাল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ও অজ্ঞাতনামা আরো দুই জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৯ (১)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক আলাল হোসেনর বাড়ি উপজেলার বাউসী গ্রামে। তিনি মছব্বির হোসেনের ছেলে।

তরুণীকে অপহরণ করে নেয়ার পর তরুণীর মা গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন বলে জানা যায়।

এদিকে মামলা রেকর্ড ও ধর্ষক আলাল হোসেনসহ জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়রা গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার হেতিমগঞ্জ চৌমুহনীতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে প্রায় অর্ধঘন্টা বেরিকেড দিয়ে রাখেন। এ সময় সিলেটের পুলিশ সুপার বিয়ানীবাজরের যাওয়ার সময় তিনিও স্থানীয় জনতার বেরিকেডে আটকা পড়েন। পরে স্থানীয় গন্যমান্য মুরব্বিগণ ও থানা পুলিশ আসামী আলাল হোসেনকে আটকের আশ্বাস প্রদান করায় রাস্তা থেকে ব্যারিকেড তুলে নেয় হয়।

এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মিজানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে ধর্ষক আলাল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ধর্ষিতাকে সিলেট ওমেক হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী ধর্ষককে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement