২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বন্যার মধ্যে কন্যা আনতে ঘাড়ে চাপলেন বর (ছবি ভাইরাল)

বন্যার মধ্যে কন্যা আনতে ঘাড়ে চাপলেন বর (ছবি ভাইরাল) - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় আকস্মিক বন্যা। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ। আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল পানিতে টুই-টম্বুর। উপজেলার অনেক মানুষ হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি। অনেকেই ঘর থেকে রাস্তায় বেরোতে পারছেন না।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিন্তু থেমে নেই জীবন। চলছে সামাজিক নানা অনুষ্ঠানও। পূর্ব নির্ধারিত এসকল অনুষ্ঠান সফল করতে হচ্ছে বন্যার পানি মাড়িয়ে। নতুন নতুন পথও তৈরী হচ্ছে। যেমন কনেকে আনতে বরদেরকে যেতে হচ্ছে কারো ঘাড়ে চেপে বা কলা গাছের তৈরি ভেলায় করে। এমনই একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে সিলেটের জৈন্তাপুরে। দেখা গেল, একজনের কাঁধে চড়ে বর যাচ্ছেন কনের বাড়িতে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের একটি ছবি ভাইরাল হয় শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই। এখন ছবি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট উজানীনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রুবেল আহমদের সঙ্গে বিয়ের দিন ধার্য হয় শুক্রবার (১২ জুলাই)। তারিখ অনুযায়ী বরও কনেকে আনতে যান যথাসময়ে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া কিছুটা বিষন্ন করলেও শেষ পর্যন্ত দমাতে পারেনি বিয়ের অনুষ্ঠান। বেশ কয়েকজন বরযাত্রী নিয়ে
কনের বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মেঘলি গ্রামের রজব আলীর মেয়ে শামিমা বেগমকে আনতে রওনা দেন রুবেল মিয়া ও তার সঙ্গে থাকা বরযাত্রীরা। এসময় বর পক্ষের সঙ্গী ছিলেন নিজপাট ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের জননন্দিত ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির খান। বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বর ভিজে যাবেন, তাই বর রুবেলকে নিজ কাঁধে
তুলে নেন হুমায়ুন। তার এমন মহানুভবতা দেখে অনেকেই তাকে সাধুবাদও জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বর রুবেল আহমদ কিছুটা প্রতিবন্ধী। আর এ কারণেই তিনি নিজ উদ্যোগেই এটি করেন বলে অন্য বরযাত্রীরা জৈন্তাপুর উপজেলার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

অবিরাম বৃষ্টির ফলে জৈন্তাপুর উপজেলার জনজীবন বির্পযস্ত। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকার মানুষের বাড়িঘরে বানের পানি প্রবেশ করেছে। অনেক এলাকায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। জনসাধারণকে নৌকা ও কলার গাছের তৈরি ভেলায় চড়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার
পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় নিজপাট, জৈন্তাপুর, চারিকাটা, দরবস্ত ও ফতেহপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বন্যা কবলিত নিজপাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে তিনি নিম্নাঞ্চল এলাকায় বসবাসরত মানুষ সর্তক থাকার আহবান জানান। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সর্তক রযেছে বলে জানিয়েছেন। জৈন্তাপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল জনান, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির
হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে প্রশাসন সর্তক রয়েছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজে মুসুল্লিদের ঢল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার : রিজভী চীনের দক্ষিণাঞ্চলীলের গুয়াংডংয়ে সর্বোচ্চ স্তরের বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেফতার মুসলিম শ্রমিক হত্যায় হিন্দু নেতারা চুপ কেন : প্রশ্ন হেফাজত নেতা আজিজুল হকের সাভারে বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে জনতার অবরোধ ভাঙতে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা নথি সই ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি’ মিলান ডার্বি জিতে শিরোপা পুনরুদ্ধার ইন্টারের

সকল