২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অন্তহীন সমস্যার আবর্তে বামনা পল্লী বিদ্যুতের ৪৫ হাজার গ্রাহক

- নয়া দিগন্ত

অন্তহীন সমস্যা আর জনবল সংকটে বামনা উপজেলাবাসী। নুতন বিদ্যুত সংযোগ পেতে তাদের যেতে হয় মঠবাড়ীয়ায়। আবার বিদ্যুত বিতরণ অভিযোগ কেন্দ্রের আওতায় ৪৫ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক থাকলেও অদ্যবধি এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস গড়ে না উঠায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

ফলে এ ৪৫ হাজার গ্রাহকের জন্য বিদ্যুত বিতরণ সেবা কার্যক্রমে নানা সংকট বিরাজ করে আসছে বছরের পর ধরে। একদিকে জনবল সংকট অন্যদিকে বিদ্যুত সেবা নিতে পাশ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার জোনাল অফিসে ধর্না দিতে হচ্ছে বামনা উপজেলার জনসাধারন চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকেন।

জানা গেছে, বামনা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৩৫ হাজার গ্রাহক ও পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়ার ৮টি গ্রাম দাউদখালী, দেবত্র, টিকিকাটা, খায়েরঘটিচোরা, গিলাবাদ, দধিভাঙ্গা, বড় আরজী ও ছোট আরজীর আরও ১০ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক বামনা উপজেলা বিদ্যুত সেবা অভিযোগ কেন্দ্রের আওতায় পরিচালিত হয়।

এ অভিযোগ কেন্দ্রের ৪ জন কর্মচারী দিয়ে গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকেন। বামনা উপজেলায় সদ্য নির্মিত ১০ মেঘাওয়াট বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশনে ১জন টেকনিশিয়ান কর্মরত রয়েছে। বামনা অভিযোগ কেন্দ্রে গ্রাহক সেবায় কর্মচারীদের জন্য ২ টি মটর সাইকেল থাকলেও তার ১টি বিকল। এ অভিযোগ কেন্দ্রের আওতায় ১২০০ কিলোমিটার এসটি/এলটি লাইন ও ১৭ কিলোমিটার ৩৩ কেভি বিদ্যুত লাইন। সামান্য ঝড় বৃষ্টি হলে বামনা উপজেলার বিদ্যুত লাইন চালু করতে ২ থেকে ৩ তিন দিন সময় লাগে। বামনা বিদ্যুৎ বিতরন অভিযোগ কেন্দ্রের ৪ জন কর্মচারী দিয়ে ৪৫ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক সেবা দেওয়া কোন মতেই সম্ভব না। এ উপজেলায় জোনাল অফিস না থাকায় সমস্যা প্রকট আকার ধারন করছে।

পল্লী বিদ্যুত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৮ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে অভিযোগ কেন্দ্র জনবল সংখ্যা ৪ জন, ১২ হাজার গ্রাহকের জন্য এরিয়া অফিস জনবল সংখ্যা ৭জন, ১৮ হাজার গ্রাহকের জন্য সাব জোনাল অফিস জনবল সংখ্যা ১২ জন, ৩৫ হাজার গ্রাহকের জন্য জোনাল অফিস জনবল সংখ্যা ১৮ জন। কিন্তু বামনা উপজেলায় ৪৫ হাজার গ্রাহক থাকলেও বিদ্যুৎ বিতরন সেবা পাচ্ছে শুধু মাত্র অভিযোগ কেন্দ্র দিয়ে। অথচ ৪৫ হাজার গ্রাহকের জন্য এ উপজেলায় জোনাল অফিস চালু থাকার কথা। যেখানে ১৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকবে। ফলে এ উপজেলায় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কার্যকর সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।

বামনা সদরের পশ্চিম সফিপুর গ্রামের মো. রাসেল চৌধুরী জানান, বামনায় একটি এরিয়া অফিস না থাকায় কয়েক বছর যাবত আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমনকি বিচ্ছিন্ন সংযোগ পেতেও যেতে হচ্ছে অন্য মঠবাড়ীয়া উপজেলায়।

এবিষয়ে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, বামনায় পল্লীবিদ্যুতের এরিয়া অফিস করার জন্য ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অতিশীঘ্রই এটা বাস্তবায়ন হবে।


আরো সংবাদ



premium cement