১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কিশোর মোস্তাাফিজকে খুন করে তার তিন বন্ধু

- ফাইল ছবি

সিলেটের ওসমানীনগরের মান্দারুকায় কিশোর মোস্তাফিজুর রহমান মছুর (১৫) লাশ উদ্ধারের একদিন পরই তার হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একটি অপরিচিত নাম্বারে ফোন দেয়া নিয়ে তিন বন্ধুর সাথে বাদানুবাদের জেরে তাকে রাতের আঁধারে হত্যা করে তারা।

হত্যার ঘটনার পর আটক জীবনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এমনটি জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মাহবুবুল আলম।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, শুক্রবার সকালে মান্দারুকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে ওই গ্রামের আব্দুল মোছব্বিরের ছেলে মোস্তাফিজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে জীবনকে (১৬) আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে মৃত মোস্তাফিজুর রহমান তার বন্ধু। অপর বন্ধু খুজগীপুর গ্রামের এলাইচ মিয়ার ছেলে লিমন (১৬) ও নিজ মান্দারুকা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে শরীফকে (১৬) নিয়ে সে মোস্তাফিজকে খুন করেছে। অপরিচিত একটি মেয়ের মোবাইল নাম্বারে কথা বলা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। যার কারণে তারা বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তিন বন্ধু মোস্তাফিজকে মান্দারুকা স্কুলের মাঠে নিয়ে গিয়ে গলায় চাপ দিয়ে ধরে, যাতে ডাক চিৎকার না করতে পারে।

অপরদিকে জীবন, লিমন, শরীফ তিনজনই পাথর দিয়ে মোস্তাফিজুরের নাক, মুখ ও অন্ডকোষসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। জখমে জীবন, লিমন, শরীফদের কাছে ধারণা হয় যে, মোস্তাফিজুর মারা যাবে। এ সময় লিমন একটি লাইলনের রশি এনে মোস্তাফিজুরের গলায় গিট্টু দিলে জীবন ও লিমন তাতে টান দিতে থাকে। পরবর্তীতে জীবন, লিমন, শরীফ তিনজন নিশ্চিত হয় যে, মোস্তাফিজুরের মৃত্যু হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement