মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে মেয়ে
- মোঃ আব্দুর রকিব, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৮
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করলো শিরীন আক্তার নামে এক পরিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিষয়টি জানতে পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মুজিবুর রহমান ওই পরীক্ষার্থীকে শান্তনা দিতে পরিক্ষাকেন্দ্রে ছুটে আসেন। পরীক্ষার্থী শিরীন আক্তার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাম্মনডোরা ইউপির বিশাউড়া গ্রামের মোঃ আহাদ মিয়ার কন্যা। তিনি মোজাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী।
বুধবার রাত ১১ টায় বার্ধক্য জনিত রোগের কারণে শিরীন আক্তারের মা জাহানারা আক্তার ইন্তেকাল করেন।
আরো দেখুন : বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা; ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৭
লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষের হামলা থেকে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা-মাও আহত হয়েছেন।
গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাশপুর গ্রামের মোল্লাবাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- এসএসসি পরীক্ষার্থী আফসানা আক্তার, তার পিতা সানাউল্যা ও মাতা কামরুন্নাহার।
এসএসসি পরীক্ষার্থী আফসানা আক্তারের বড় ভাই আবদুল কাদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা সানাউল্যা ও তাদের বাড়ীর সালাহ উদ্দিনের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার বিকেলে তার পিতা সানাউল্যা বাড়ীর পাশের মসজিদ থেকে আছরের নামাজ পড়ে বাড়ী ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সালাহ উদ্দিন ও মোসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ওৎ পেতে থাকা ৬-৭ জন তার পথ রোধ করে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। খবর পেয়ে বাড়ীতে থাকা আমার ছোট বোন ইবরাহীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী আফসানা আক্তার ও আমার মা কামরুন্নাহার আমার বাবা সানাউল্যাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি প্রহার করা হয়।
এক পর্যায়ে তাদেরকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা তিনজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর মামলা না করার জন্য তারা আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, আফসানা আক্তারের অবস্থা গুরুতর, তার বুকে ও পিঠে রডের আঘাতে মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে। ব্যথার তীব্রতায় সে হাসপাতালের বেড থেকে উঠতে পারছে না। একই অবস্থা তার বাবা সানাউল্যা ও মা কামরুন্নাহারেরও।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হাসেন জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের আঘাত মারাত্মক, সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা