২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া

বিশ্বনাথে প্রযুক্তির মাধ্যমে বীজতলায় বীজ, চারা রোপনের চিত্র - নয়া দিগন্ত

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে কৃষি। সিলেটের বিশ্বনাথেও এর প্রভাব দেখা দিয়েছে। স্বল্প সময়ে ও জনবলে চাহিদা মতো জমি চাষ করতে পারায় বীজতলা তৈরি, চারা উৎপাদন, রোপন, ধান কাটা, মাড়াই ও খড় সংগ্রহসহ কৃষি কাজের সবক্ষেত্রেই এখন ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তি। এতে যেমনি সুফলও পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি চাষাবাদে কমেছে ব্যয়ভার।

ফলে কৃষিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। তাই কৃষকরা আরো প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পেলে উপজেলায় অনাবাদি জমি হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, কৃষি কাজে বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষকরা ব্যবহার করছেন কম্বাইন হারভেস্টার ৯টি, রিপার ১৮টি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ৮টি। সরকারি ভর্তুকি ৫০ থেকে ৭০ ভাগ আওতায় এসব কৃষিযন্ত্রের সুবিধা ভোগ করছেন কৃষকরা।

খরচ সাশ্রয়ে গত আমন মৌসুমে কৃষকরা কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে প্রায় ২২০ একর ও রিপার দিয়ে ৮৩ একর জমির ধান কাটেন। পরে খড় সংগ্রহ করে ভেলার মেশিনের সাহায্যে খড়ের রোল বানিয়ে সংরক্ষণের জন্যে রাখা হয়।

চলতি বরো মৌসুমে কৃষি অফিস লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭২৮০ হেক্টর। ইতোমধ্যে মধ্যে এ বছরই প্রথম এ উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে প্রায় ২৫ একর জমি রোপন করা হয়েছে। এর আগে তারা সরকারি ও এসিআই মটরসর প্রশিক্ষণ নিয়ে মেশিনে রোপনের উপযোগী বিশেষ কায়দায় তৈরি বীজতলায় চারা উৎপাদন করেন।

চাষী আহমদ আলী বলেন, এবার প্রথম বারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে বরো ধানের চারা রোপন করেছি। আশা করি আগের তুলনায় ভালো ফলন হবে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা বেলাল আহমদ ইমরান বলেন, কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আরো প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পেলে বিশ্বনাথে অনাবাদি জমি হ্রাস পাবে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, যন্ত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই কৃষিকাজ সম্পন্ন করা যায়। সরকারের প্রতিশ্রুতিই হচ্ছে কৃষিকে যান্ত্রিকিকরণ। এরই ধারাবাহিকতায় যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement