২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কমলগঞ্জে অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার

- ফাইল ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী শারমিন আক্তার (১৫) অপহরণের ২৩ দিনের মাথায় সোমবার উপজেলার আদমপুরের হুমেরজান এলাকায় অপহরণকারী সহযোগীর বাড়ীর একটি কক্ষ থেকে অপহরণকারী আটকসহ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।

জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের হুমেরজান গ্রামের পাঙাল মুসলিম মো. আলতু মিয়ার স্কুল পড়ুয়া কন্যা শারমিন আক্তার (১৫) কে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দয়াময় উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল ৮ টায় বাড়ী থেকে বেড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মাটিয়া মসজিদ নামক নির্জন এলাকায় পৌঁছা মাত্র তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই গ্রামের আবিদ মিয়ার পুত্র তিন সন্তানের জনক আতাব মিয়া (৩০) ও তার সহযোগী একই গ্রামের দিদার মিয়ার পুত্র ইলিয়াছ মিয়া (৩৫)। এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা আলতু মিয়া পরদিন ১৭ই ডিসেম্বর কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।

গত ৬ জানুয়ারী রবিবার ভিকটিমের পিতা তার মেয়ের অবস্থানের কথা জানতে পেরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে এর সূত্র ধরেই কমলগঞ্জ থানার এসআই মো. সুরুজ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ২৩ দিনের মাথায় সোমবার রাত ৮ টায় অপহরণকারীর সহযোগী ইলিয়াছ মিয়া এর বাড়ীর একটি কক্ষ থেকে অপহরণকারী আতাবসহ অসুস্থ অবস্থায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী শারমিন আক্তারকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীর সহযোগী ইলিয়াছ মিয়া পালিয়ে যায়।

ভিকটিমের পিতা আলতু মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, অপহরণকারী আতাব মিয়া তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের পর থেকে তার সহযোগী ইলিয়াছের বাড়ীর একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে দিনের পর দিন তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা আলতু মিয়া বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় অপহরণ করে দিনের পর দিন মামলা করেন।

উদ্ধার করা অসুস্থ্য স্কুল ছাত্রী শারমিন আক্তারকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ও অপহরণকারীকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহামন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement