১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
জনসভায় সুলতান মনসুর

২ কোটি টাকার জন্য খালেদা জিয়া জেলে, হাজার কোটির ঋণ খেলাপি পেয়েছে মনোনয়ন

কুলাউড়ায় বক্তব্য রাখছেন সুলতান মনসুর আহমদ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সোমবার বিকেলে কুলাউড়ায় আয়োজিত বিশাল সমাবেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন, আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। ডাকসুর ভিপি ছিলাম। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেছি বলেই আমি সাদাকে সাদা বলব না, কালোকে কালো বলব, তা সুলতান মনসুর কখনো করে না। সংববিধানে লেখা আছে দেশের মালিক জনগণ । গত ৪ বছর যাবত জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এভাবে তো দেশ চলতে পারে না। এভাবে তো সমাজ চলতে পারে না। কুলাউড়াসহ দেশে ফেনসিডিলের ছড়াছড়ি। মাথা যখন পচে যায়, তখন পুরো শরীর পচে যায়। দেশের মালিকের মাথা পচে গেছে। দুই কোটি টাকার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানা বানিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে অন্ধকার ঘরের ভিতরে রাখা হয়েছে। আর যারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, উল্টা দেশের লক্ষ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারী ঋণ খেলাপী ‘দরবেশ’কে সরকারি দলীয় প্রতীকে নমিনেশন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হচ্ছে জনতার ঐক্যফ্রন্ট। এ ঐক্যফ্রন্টের মালিক হচ্ছেন জনগণ। সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে দেশের জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বেগম জিয়া অবশই মুক্তি পাবেন। ৩০ তারিখের জনরায়ের পর সসম্মানে তিনি বীরের বেশে বেরিয়ে আসবেন।

সুলতান মনসুর আরো বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের জবাব দিতে এবং মাত্র দুই কোটি টাকার জন্য জেল রাখা সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে জনগণ এবার জেগে উঠেছে। ৩০ ডিসেম্বর কুলাউড়াসহ সারা দেশে ধানের শীষ বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

তিনি আরো বলেন, বিগত দশ বছরে ১ শ' ২০ মাস, ৩৬ শ' দিন আমার ভূমিকাকে মানুষের পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ৮৬ হাজার ৪ শ' ঘন্টা আমি মানুষকে সেবা করতে পারিনি। প্রতিদিন ২ ঘন্টা যদি আমি মানুষের সেবা করতে পারতাম তাহলে আমি ১ লক্ষ ৭২ হাজার মানুষের সেবা করতে পারতাম। কিন্তু কে আমাকে বঞ্চিত করেছে, কারা করেছে তা আপনারা জানেন।
২০১৪ সালে মার্কাস মার্কা একটা নির্বাচন হয়েছে। জনগণ কোনো ভোট দেয়নাই। এরপরে আবার ১৫৩ টি আসনে বিনা ভোটে এমপি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

৪ বছর কুলাউড়ায় কি কোনো টাকা আসেনি? রাস্তাঘাটের যে বেহাল অবস্থা তাহলে সরকারের বরাদ্দের টাকা কোথায় গেল প্রশ্ন রাখেন তিনি। সুলতান বলেন, রেষ্ট হাউজ, পৌরসভা, স্কুলে বহুতল ভবন আমি ৯৬ সালে এমপি থাকাকালে করেছি। এখন নাকি টাকা না হলে কিছু হয় না। টাকা না দিলে নাকি চৌকিদারও নিয়োগ দেয়া হয় না।
তিনি দলমত নির্বিশেষে ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার উদাত্ত আহবান জানান।

কুলাউড়া স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শওকতুল ইসলাম শকু। পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আলম সোহেলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মৌলভীবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কামাল আহমদ জুনেদ, সাবেক ছাত্রনেতা কমর উদ্দিন আহমদ কমরু প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement