২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অর্থমন্ত্রীর সাথে ইনাম চৌধুরীর বৈঠক নিয়ে সিলেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

অর্থমন্ত্রীর সাথে ইনাম চৌধুরীর বৈঠক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া - নয়া দিগন্ত

নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটসহ সারাদেশে যখন বিএনপি ও ২৩ দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তখন সিলেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাসায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরীর বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এই বৈঠকের জন্য বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ইনাম চৌধুরীর সমালোচনা করছেন। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাত উল্লেখ করে এটি সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইনাম আহমদ চৌধুরী সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ে হাফিজ কমপ্লেক্সে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাসভবনে গিয়ে তাঁর দেখা করেন। এসময় সিলেট-১ আসনে আ’ লীগের মনোনীত প্রার্থী, অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথেও কুশল বিনিময় করেন তিনি। ইনাম চৌধুরী সিলেট-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরও জমা দিয়েছেন মনোনয়নপত্র ।

ইনাম চৌধুরীর সৌজন্য সাক্ষাত নিয়ে ফেসবুকে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী মন্তব্য করেন, ‘দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে, নেতা-কর্মীদের প্রতিনিয়ত নির্যাতনের মুখোমুখি দেখেও যারা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের কথা চিন্তা করেন, আমি স্পষ্টভাবে মনে করি তাদের সাথে আমার চিন্তা ও ধ্যান-ধারণার মিল হতে পারে না। আমি গতকাল নির্বাচনী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়াটাকে আমার স্পষ্ট ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি। অনুতপ্ত বোধ করছি।

ছাত্রদল নেতা রাজ্জাক খান রাজ লিখেছেন, ‘দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে, নেতাকর্মীদের কারাগারে রেখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের কথা চিন্তা করেন? ছিঃ ছিঃ এ কেমন রাজনৈতিক সম্প্রীতি?

তবে, এই সাক্ষাতকে সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন জগন্নাথপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা মুক্তাদির আহমদ মুক্তা। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, এমন দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র ...।

আবুল মাল আবদুল মুহিত আর ইনাম আহমদ চৌধুরী দু’জনের রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন হলেও পারিবারিক সম্পর্ক, চিন্তা-চেতনা, শিক্ষা আর পেশাগত কারণে দু’জনের অবস্থান কাছাকাছি। একজন বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আর আরেকজন প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) ও বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান।

ইনাম আহমদ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটা নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। অতীত নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছি আমরা। মুহিত আমার বড় ভাই ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আমার সাথেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মুহিতের বাসা যেখানে, সেখানে অনেক আগে আমাদের বাসাও ছিল।’

ইনাম চৌধুরী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সাথে ঘন্টাখানেক কথা বলেছি। ছাত্রজীবনে ১৯৫৪-৫৫ সালের দিকে তিনি এবং আমি একই ক্যাবিনেটে ছিলাম। তিনি আমার সিনিয়র ছিলেন। তাঁর সাথে সবসময়ই আমার যোগাযোগ থাকে।’

সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিষয়টি উল্লেখ করে ইনাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সম্প্রীতি, সৌহার্দপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিশ্বাস করি। আমাদের রাজনীতিতে আদর্শ স্থাপন করা উচিত। বিশেষ করে সিলেটে এটা হওয়া উচিত।


আরো সংবাদ



premium cement
আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না মিয়ানমারে ফিরল সেনাসহ আশ্রিত ২৮৮ জন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : কাদের রোববার থেকে স্কুল খোলা : শনিবারও চলবে ক্লাস যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরিয়ে আনতে চান ট্রাম্প : বাইডেন কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার প্রবাসী দেশে ফেরার সময় মারা গেলেন চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু ভারতীয় ৫২৭ খাদ্যপণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ তীব্র তাপদাহের জন্য দায়ী অবৈধ সরকার : মির্জা আব্বাস অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি : বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

সকল