১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছাত্রলীগ সহ-সভাপতির ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল

ইয়াবা সেবন করছেন শাবি ছাত্রলীগ সহসভাপতি তারিকুল। - ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলামের ইয়াবা সেবনের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে তারিকুলের নিজ ফ্লাটে বসে মাদক ইয়াবা সেবন করছেন। শুধুমাত্র ইয়াবা সেবন নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সখ্যতার সুযোগে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বেচাকেনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ উঠেছে এ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

এদিকে তারিকুলের ইয়াবা সেবনের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্যাম্পাসে। ফেসবুকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু সাঈদ আকন্দ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘শুনে খুব ব্যথিত হলাম যে, তাকে ছবিতে যে বিশেষ দ্রব্যটি (ইয়াবা) সেবন করতে দেখছেন সে নাকি ইহার ব্যবসাও করে! হুম করতেই পারে কারণ প্রক্টরের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই মধুর।’

ভাইরাল হওয়া ছবিতে তারিকুলকে শহরের আখালিয়া এলাকার এলাহী ৯/এ নং বাসায় ইয়াবা সেবন করতে দেখা যায় বলে দাবি করেন তারিকুলের এক সময়ের ঘনিষ্ঠজনরা। ওই বাসাকে কেন্দ্র করে ইয়াবা সেবন ও ব্যবসার কার্যক্রম গড়ে ওঠে বলেও দাবি করেন তারা।

তবে মাদক সেবক স্বীকার করেছেন তারিকুল কিন্তু মাদক ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করে তারিকুল বলেন, আমি ইয়াবা সেবন করেছি এটা সত্য। তবে কোনো ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার প্রতিপক্ষরা এ ধরনের কথা ছড়িয়েছে।

 

আরো পড়ুন : শারীরিক সম্পর্কের পর অস্বীকার : বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি, ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪৯


স্ত্রীর অধিকার দাবি করে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা দাস (১৯)। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনউষার ইউনিয়নের বুন্দাবনপুর গ্রামে। শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবি নিয়ে ওই গ্রামের নীলমনি দাসের ছেলে প্রাবাসী সজল দাসের বাড়িতে এসে উঠেছে প্রিয়াঙ্কা দাস।

দীর্ঘদিনের প্রেম, অতপর দৈহিক সম্পক ও মুঠোফোনে অশ্লীল ছবি ধারণ- এতসব কাণ্ডের পর দুই দফা বিচার বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় স্ত্রীর দাবীতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। আকস্মিকভাবে প্রেমিকের বাড়িতে এসে অবস্থান নিলে প্রেমিকের পরিবার সদস্যরা তাকে দুই দফা মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর গ্রামের নীলমনি দাসের ছেলে ওমান প্রবাসী সজল দাস (২২) এর সাথে বৈরাগীরচক (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের প্রদীপ দাসের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাসের (১৯) দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। প্রিয়ঙ্কা যখন ৮ম শ্রেণীতে পড়ছিল তখন থেকে সজলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি ওমান থেকে প্রেমিক সজল দাস দেশে ফিরে এসে প্রিয়াঙ্কার সাথে দেখা করে। প্রিয়াঙ্কাকে চাপ সৃষ্টি করে তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। সাথে সাথে মুঠোফোনে গোপনে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও চিত্রধারণ করে। এই ধারণকৃত দৃশ্যও আবার লোকজনদের দেখানো হয়।

এর প্রতিবাদে প্রিয়াঙ্কা পরিবারের লোকজনকে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার প্রার্থনা করে। পতনউষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তওফিক আহমদ ও সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ চৌধুরী, ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে দুই দফা সালিশ বিচার বসে। সালিশ বিচারে কোন সমাধান না হলেও প্রেমিক সজল দাস গা ঢাকা দেয়। এরপরই প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা দাস স্ত্রীর অধিকার দাবি করে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রমিকের বাড়িতে অবস্থান এসে ওঠে।

সজল দাসের বাড়িতেই প্রিয়াঙ্কা দাসের সাথে কথা হলে সে সমুহ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলে এখন সে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে ঐ বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। এ বাড়ি থেকে তাকে তাড়াতে গত শুক্রবার রাতে দুই দফা ও আজ শনিবার আরও এক দফা মারধর করা হয়।

প্রিয়াঙ্কা দাসের বাবা প্রদীপ দাস অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই প্রতারণা করে সজল দাস এতসব ঘটনা ঘটিয়েছে তারপর তার মেয়ে সে বাড়িতে অবস্থান নিলে সে বাড়ির লোকজন শুক্রবার রাতে দুই দফা প্রিয়াঙ্কাকে মারধর করেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে নীলমনি দাস উল্টো কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন।

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তওফিক আহমেদ বলেন, ছেলেটি বিষয়টি প্রথম পর্যায়ে অস্বীকার করলেও মুঠোফোনের আলামতে তা প্রমাণিত হয়। ২য় শালিস বৈঠকে ছেলে উপস্থিত না হওয়ায় সমাধান হয়নি। তিনি আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কার পরিবারকে।

ঘটনা সম্পর্কে সজল দাসের বাবা নীলমনি দাস বলেন, এলাকার কিছু মানুষ জোর করে মেয়েটিকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসে। ছেলে সজল দাস কয়েকদিন ধরে বাড়িতে নেই। কোথায় গেছেন তা তিনি জানেন না।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, এরকম ঘটনাটি শুনেছেন। তবে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement