২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সম্ভ্রম বাঁচাতে সারারাত জঙ্গলে কিশোরী

প্রতীকী ছবি - সংগৃহীত

দুর্বৃত্তদের হাত থেকে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে সারারাত গভীর জঙ্গলে কাটিয়েছে এক কিশোরী(১৮)। গত শনিবার রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার এক চা বাগানে এই ঘটনা ঘটে। পরে রোববার সকালে পরিবারের সদস্যরা কিশোরীকে উদ্ধার করার পর কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাড়ি জুড়ী উপজেলার একটি চা বাগানে।

ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসি) কুলাউড়ার প্রোগ্রাম অফিসার আমান উল্ল্যাহ জানান, ভিকটিম কিশোরী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। তবে ধর্ষিত না হলেও তার শরীরের কামড়, আছড় ও হাত-পায়ে জখম হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে মেয়েটির জবানবন্দি লিখিতভাবে গ্রহণ করে সুপারিশ সহকারে জুড়ী থানার ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ভুক্তভোগী কিশোরীর ভগ্নিপতি জুগল ওরাং বলেন, রত্না চা বাগানের মংগাবস্তির বাসিন্দা বান্না উরাংয়ের বখাটে পুত্র বিনয় উরাং(২২) গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কিশোরীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাহাড়ের নির্জন স্থানে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ভিকটিম কিশোরী দৌড়ে জঙ্গলের ভিতরে পালিয়ে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করে। সারারাত রাত জঙ্গলে কাটানোর পর সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে। পরে শনিবার বিকেলে জুড়ী থানায় নির্যাতিতাকে নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনো তদন্ত না করায় কুলাউড়া ওয়ান স্টপ সেন্টারে ও কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করাই।

ভিকটিমের প্রতিবেশী বসন্ত উরাং বলেন, ধর্ষন চেষ্টাকারী বিনয় উরাং গত ৬ মাস ধরে কিশোরীকে বিরক্ত করে আসছিল। ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী এই কিশোরী বখাটে বিনয়ের ভয়ে পড়ালেখা বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। এখন ভয়ে মা-বাবার ঘর ছেড়ে বোনের বাড়ি সে থাকে। পূজা উপলক্ষে বাড়িতে আসার পর বখাটে বিনয় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

রোববার রাতে জুড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, নির্যাতিত কিশোরীর লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরো পড়ুন: চিকিৎসককে ধর্ষণের চেষ্টা পাঠাও চালকের 
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৯ জুলাই ২০১৮

রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের এক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি যাত্রী হয়ে ওঠা এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান (২৯) চট্টগ্রামের নিউমুরিং আবাসিক এলাকায় থাকেন। তার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হাটখোলার বেপারি পাড়ায়।

রোববার ভোরে বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং) আশিকুর রহমান।


মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী নারী চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি পুলিশকে বলেছেন, গত ২৪ জুলাই ফ্রি পোর্ট এলাকা থেকে ভাটিয়ারি নেওয়ার পথে পাহাড়তলীর জেলে পাড়া এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মিজান। পুলিশ কর্মকর্তা আশিকুর বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

পাহাড়তলী থানার এসআই অর্ণব বড়ুয়া বলেন, অভিযোগের পর কারচালক মিজানুর রহমানকে নিউমুরিংয়ে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাসা থেকে ওই নারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগও উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

এসআই অর্ণব বলেন, “সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই চিকিৎসক তার কলেজ থেকে পাঠাও অ্যাপের মাধ্যমে মিজানের গাড়িতে করে বাসায় আসেন। ওইদিন মিজান তার মোবাইল নম্বর দিয়ে ওই চিকিৎসককে বলেছিলেন, গাড়ি না পেলে বা নেটওয়ার্ক ডিস্ট্রার্ব করলে তাকে যেন ফোন করা হয়।

‘ঘটনার দিন বৃষ্টির কারণে ওই তরুণী ভাটিয়ারি যাওয়ার গাড়ি পাচ্ছিলেন না। তখন মিজানকে ফোন করলে তিনি আসেন।’ টোল রোড দিয়ে ভাটিয়ারি যাওয়ার পথে পাহাড়তলী জেলে পাড়া এলাকায় মিজান জঙ্গলের পাশে গাড়ি থামিয়ে পেছনের আসনে থাকা ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এসআই অর্ণব বলেন, তখন ওই চিকিৎসক নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগটি গাড়িতেই থেকে যায়। আর মিজান গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।


আরো সংবাদ



premium cement