২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুনামগঞ্জ সীমান্তে কয়লা ও মাদক পাঁচার

-

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে নাটকীয় ভাবে ২০ মে.টন চোরাই কয়লা ও বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাঁচার করা হয়েছে। এসব অবৈধ মালামালের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ২মে.টন চোরাই কয়লা আটক করা হলেও চোরাচালানীদের গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানাগেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার ভোর ৪টায় বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সাব্বির চোরাচালানী কালাম মিয়া,জানু মিয়া ও বাবুল মিয়াকে নিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ২০মে.টন চোরাই কয়লা ও বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাঁচার করে লালঘাট গ্রামের পাকা রাস্তার মাথায় জানু মিয়ার ইঞ্জিনের নৌকাতে বোঝাই করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন দুধেরআউটা,ড্রাম্পের বাজার ও তেলিগাঁও গ্রামে নিয়ে যায়।
এরআগে গতকাল ২৩.০৯.১৮ইং রোববার রাত ৮টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের ১১৯৭নং পিলার সংলগ্ন লালঘাট ও লাকমা এলাকার ১০টি চোরাই পথ দিয়ে চোরাচালানী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া,তানজু মিয়া,বাবুল মিয়া,আবুল মিয়া,মানিক মিয়া,লাল মিয়া,মজিবুর মিয়া গং ভারত থেকে ২২মে.টন কয়লা ও বিপুল পরিমান মদ,গাঁজা,হেরোইন ও ইয়াবা পাচাঁর করে কালাম মিয়া ও জানু মিয়ার লালঘাটের বাড়ির ভিতরে,তাদের পার্শ্ববর্তী শুক্কুর আলীর বাড়ির পুকুরে,তানজু মিয়া বাড়ির পিছনেসহ ১১৯৭নং পিলার সংলগ্ন লাকমা গ্রামের বাবুল মিয়া ও আবুল মিয়ার ২টি চোরাই কয়লার গুহার মাঝে লুকিয়ে রাখে।
এই খবর পেয়ে রাত ৯টায় পার্শ্ববর্তী টেকেরঘাট ক্যাম্পের বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার আমিনুল হক অভিযান চালিয়ে চোরাচালানী তানজু মিয়ার বাড়ির পিছন থেকে ২মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেন। অন্যদিকে মাদক,কয়লা,হুন্ডি, চাঁদাবাজি ও বিজিবির ওপর হামলাসহ ১০টি মামলার জেলখাটা আসামী চোরাচালানী কালাম মিয়ার বাড়িতে বসে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমাম চোরাচালানী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,বাবুল মিয়া,তানজু মিয়া গংকে নিয়ে মিটিং করেন। এবং পাচাঁরকৃত ১ বস্তা (৮০কেজি) কয়লা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার দেলোয়ার হোসেনের নামে ৫০টাকা,নায়েক সাব্বিরের নামে ১০টাকা, টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমামের নামে ৩০টাকা ও আব্দুর রাজ্জাক ৩০টাকা চাঁদা নেয় বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী কালাম মিয়া।
এ ব্যাপারে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী কালাম মিয়া বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় যত লেখা লিখে করেন না কেন কিছুই হবেনা,কারণ এএসআই ইমাম ও নায়েক সাব্বির ভাই আমাদের সাথে আছেন। এব্যাপারে এএসআই ইমাম বলেন,লালঘাটে বিজিবির কয়লা আটকের অভিযানের সময় আমি ছিলাম না এবং চোরাচালানী কালামের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই,আমার বিরুদ্ধে যারা বলেছে সব মিথ্যা বলেছে,কারণ আমি ১বছরের ওপরে এখানে আছি। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক আবুল আহসান বলেন,বালিয়াঘাট সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল