২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সুনামগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর পক্ষে অন্যরকম প্রচারণা

-

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হকের কর্মীরা অন্যরকম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসিনুল হকের গণসংযোগের পাশা-পাশি তার কর্মীরা খালি গায়ে বুক জুড়ে লিখে রেখেছেন “আনিসুল ভাইকে, সংসদে দেখতে চাই”। কর্মীদের এমন প্রচারনায় মনে করিয়ে দেয় ৯০ এর শৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক “নূর হোসেন” কে। এমন প্রচারণায় এলাকাতে রীতিমতো দৃষ্টি আকর্ষণ ও তৃনমুলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
হাওর বেষ্ঠিত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-তাহিরপুর ও মধ্যনগর) নির্বাচনী এলাকার বিএনপির মনোনয়ন নামের সোনার হরিণ কে পাচ্ছেন এ প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিএনপির শান্তিপ্রিয় ধারাবাহিক আন্দোলন-কর্মসুচির সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশী আনিসুল হক দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নির্বাচনী মাঠে প্রচার চালিয়ে তার প্রার্থীতার কথা জানান দিচ্ছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও তিনি ব্যানার, ফেস্টুন, পোষ্টার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের কাছে বার বার ঘুরছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর পূর্বে থেকেই ব্যাপক লবিং করে, দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামের নেতাকর্মীকে চাঙ্গা করেছেন তিনি। মনোনয়ন দৌঁড়ে টপকে যাওয়ার জন্য চলছে প্রাণান্তকর প্রচেষ্ঠা।
রবিবার তার নির্বানী এলাকার তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কর্মীদের নিয়ে দেশনেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালে জিয়ার মুক্তি কামনা করে ধানের শীষের প্রচার কাজ চালিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নির্বাচনী মাঠে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সংগঠিত করে মাঠ সরব করে রেখেছি। দেশনেত্রী কারান্তরিন হওয়ার পূর্বে একাধিকবার সাক্ষাত করে বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহলের সাথে কথা বলেই নির্বাচনী মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি এই মুহুর্তে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনা করে বলেন, অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের পতন, গনতন্দ্র পুনরুদ্ধার, গণমানুষের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য জাতীয় ঐকের কোন বিকল্প নেই।


আরো সংবাদ



premium cement