২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুনামগঞ্জে গান ছবির আড়ালে পর্নোগ্রাফি ব্যবসা, অভিযানে আটক ৪৬

-

সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে দিন রাত প্রকাশ্যেই মেমোরি লোড,সিডি,ডিভিডি রাইটিং কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজের জন্য ক্ষতিকর নীল ছবির জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দোকানীরা। ফলে সমাজের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ মোবাইলের মধ্যে পর্নো ছবি লোড করে দেখছে। মাত্র ১০/১৫ টাকার বিনিময়ে খুব সহজেই এসব পর্নো ছবি লোড করতে পারায় দোকান গুলোতে উঠতি বয়সের যুবক ও ছাত্রদের ভীড় লেগেই থাকে। যার ফলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বিপথগামী হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের বিত্তিত্বে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় গান,ছবির আড়ালে পর্নোগ্রাফি ডাউন লোডের ব্যবসা,অভিযানে ৪৬আটক,১০টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,জেলার সদর,তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা,দিরাই,শাল্লা,জগন্নাথপুর,ছাতক,দক্ষিন সুনামগঞ্জ,বিশ্বম্ভরপুর,দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে মোবাইলে মেমোরি কার্ডে ডাউন লোডের দোকান গুলোতে প্রকাশ্যেই চলছে পর্নোগ্রাফি ডাউন লোডের ব্যবসা। যে কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের সন্তানদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে অভিভাবক মহল। দেশের অবৈধ এ পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র মোবাইলের মেমোরিতে ধারণ ও বিপনণ ব্যবসা প্রতিহত করার লক্ষ্যে একটি আইন থাকলেও সরকারের প্রনীত এ আইনের প্রতি বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শন করে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজার গুলোতে কম্পিউটারের দোকান থেকে গান,ছবি লোডের পাশা পাশি দেদারচ্ছে মোবাইলে দেওয়া হচ্ছে আর চালানো হচ্ছে অবৈধ অশ্লীল ভিডিও চিত্রের লোড কার্যক্রম।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সূত্রে জানাযায়, জেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে মোবাইলে মেমোরি কার্ডে ডাউন লোডের দোকান গুলোতে প্রকাশ্যেই চলছে পর্নোগ্রাফি ডাউন লোডের ব্যবসা। এসব কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নিদের্শে গত কয়েকদিনে জেলার ছাতক,দোয়ারা বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ সদর,তাহিরপুরসহ কয়েকটি উপজেলায় পৃথক পৃথক ভাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধ এই পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিও চিত্রসহ সর্বমোট ৪৬জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর সাথে ৪৬টি হার্ডডিক্সসহ কম্পিউটার সহ আটককৃতদের বিরোদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে ১০মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলার সচেতন অবিভাবকগণ বলছেন,স্কুল চলাকালে বিভিন্ন বাজারে কম্পিউটার দোকান গুলোতে নীল ছবি দেখানো হচ্ছে। এতে করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্নোগ্রাফির দিকে আসক্ত হচ্ছে। তারা মনে করছেন অবৈধ এ পর্নো ছবি ব্যবসার ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলোর সকল কম্পিউটার প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুরুত্ব সহকারে চেক করে জব্দ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। না হলে দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাবে তাদের সন্তানদের জীবন।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান,তাহিরপুরে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ৩জন কে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরোদ্ধে পর্নোগ্রাফি (ব্রু ফিল্ম) আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। যুব সমাজ কে রক্ষার সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে এই উপজেলায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement