২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোয়াইনঘাটে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা

-

সিলেটের গোয়াইনঘাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক কলেজ ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। আত্মহননকারী সাইফুল ইসলাম (১৯) উপজেলার নলজুড়ি গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে ও জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রী কলেজের একাদ্বশ শ্রেণীর ছাত্র।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সাইফুর রহমান ও তার বড় ভাই ফয়জুর রহমানের মাঝে তাদের অসুস্থ মা’কে মেডিকেল নিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই সূত্র ধরে বড় ভাইয়ের সাথে অভিমান করে রাত ৭টার দিকে পরিবারের সবার অগোচরে বাড়ির পাশে জলপাই গাছের ডালের সাথে ফাঁস লাগিয়ে সাইফুল আত্মহত্যা করে।

খবর পেয়ে থানার এস আই জুনেদ আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশের প্রাথমিক সূরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রাতা ১১টার দিকে নিহত সাইফুরের সহপাঠি ও এলাকার শতাধিক যুবকরা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক (নলজুরীস্থ) অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার পিযুষ ও এসআই জুনেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলেন। এসময় এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, নিহতের বড় ভাই পারিবারিক কলেহের জের ধরে সাইফুলকে বেদম মারপিট করেন। এ কারনে সাইফুর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

নিহতের বড়ভাই সাইদুরের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনার দিন সকালে তাদের অসুস্থ মা’কে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে সাইফুরকে বলা হয়। এতে সাইফুর রাজি না হওয়ায় তাকে হালকা মারপিট করা।

এরপর সারাদিনে সে বাড়িতে ছিল। সন্ধ্যার পর সে গোপনে বাড়ীতে থেকে বের হয়ে গাছের ঢালে গামছা পেচিঁয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় লোকজনের সাথে তাদের বিরোধ থাকায় তাদেরকে ফাঁসাতে অনেকে ষড়যন্ত করছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল আত্মহত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্তের রিপোট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

জানতে চাইলে তদন্তকারী র্কমর্কতা এসআই জুনেদ জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি এবং সরতহাল রিপোট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। তিনি বলেন,সাইফুর আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement