২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কমলগঞ্জের মাধবপুর লেক চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য্য

-

প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যরে অপার লীলীভূমি কমলগঞ্জ উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মাধবপুর লেক দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অপরুপ এ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ছুটে আসছেন হাজার হাজার পর্যটক। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের ঢল নামে। আনন্দ ভ্রমন কিংবা পিকনিক করতে বন্ধুরা মিলে চলে আসুন মাধবপুর লেকে। দিনের প্রথম দিকে অথবা আসতে পারেন পড়ন্ত বিকেলে।
গাড়ি থেকে নামতেই সবুজ পাতার গন্ধ মনকে চাঙ্গা করে তুলবে। চারদিকে সবুজ পাহাড়। পাশাপাশি উঁচু উঁচু টিলা। সমতল চা বাগানে গাছের সারি। হয়তো এরই মাঝে একঝাঁক পাখি অথিতিদের আমন্ত্রন জানাবে তার সুরের মুর্চ্ছনা দিয়ে। পাহাড়ী পাখীর গান আর নৃত্য ছাড়াও দেখতে পাবেন নানান প্রজাতির বন্যপ্রাণী। মাধবপুর লেক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে অঙ্কিত মায়াবী নৈসর্গিক দৃশ্য। সুনীল আকাশ আর গাঢ় সবুজ পাহাড়, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত চা বাগানের এই মনোরম দৃশ্য আকর্ষন করে নিয়ে যাবে ভিন্ন জগতে। বন্যপ্রানীদের মধ্যে বানর ও হনুমানের লাফালাফিতে চিত্ত বিমোহিত হয়ে শিশু কিশোরের মতই আনন্দ পাওয়া যাবে।
চারদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত লেকটি সত্যি অপুর্ব। আস্তে আস্তে সামনের দিকে যতই এগুতে থাকবেন তত ভালোই লাগবে। এই শীত মৌসুমে প্রতিদিনই পর্যটকরা আসছেন মাধবপুর লেকে। হাজার হাজার বিনোদন প্রিয় পর্যটকদের পদভারে পুরো বছরই মুখরিত থাকে লেক। অথচ পর্যটন উপযোগী কোন সুযোগ সুবিধা এখনো গড়ে উঠেনি। যেখানে প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার লোক পরিদর্শন করছে। কিন্তু সরকার বা কোন বেসরকারী প্রতিষ্টান এ পর্যটনের জায়গাটির দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেনা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভুমি খ্যাত কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর লেকটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠতে পারে। সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে লেকটিতে যেমন দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে তেমনি সরকারও পাবে বিপুল পরিমান পর্যটন আয়। সৌন্দর্য্যে ভরপুর নয়নাভিরাম দৃশ্যের অধিকারী কমলগঞ্জ উপজেলার এই ‘মাধবপুর লেক’। এখানে পর্যটকদের আকর্ষনের কথা বললেও আজ পর্যন্ত গড়ে উঠেনি পর্যটন বিকাশের কোন সুবিধা।
মাধবপুর লেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানান, মাধবপুর লেক এ অঞ্চলের মধ্যে খুবই চমৎকার স্থান। এ লেকটিকে ঘিরে বিনোদনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হবে অন্যদিকে পর্যটকের কাছে আরো আকর্ষনীয় হবে । এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে। মাধবপুর লেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক অনন্তভূমি। সরকার এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে দেশের অন্যতম একটি আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে পাত্রখলা চা বাগানে লেকটির অবস্থান। এটি মৌলভীবাজার থেকে ৪০ কি.মি. দক্ষিণে ও শ্রীমঙ্গল থেকে ১৫ কি.মি. পুর্বে অবস্থিত। ন্যাশনাল চা কোম্পানীর মালিকানাধীন পাত্রখলা চা বাগানের ভিতরে অবস্থিত বানিজ্যিকভাবে এ লেকটিকে গড়ে তোলা হলে একদিকে পর্যটকরা যেমন তৃপ্তি পাবেন অন্যদিকে সরকারও পাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব। মাধবপুর লেকের ঝলমল পানি, ছায়াসুনিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের উপস্থিতি মনোমগ্ধকর করে তুলে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, আর সেন্ট মার্টিন এর মত এটিও হতে পারে একটি আকর্ষনীয় স্থান। যেখানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটনের জন্য আসবে হাজারো মানুষ। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের মত মাধবপুর লেকটিকে গড়ে তোলা হলে এটি একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্থান পাবে। এবং পর্যটকদের কাছে চিত্তবিনোদনের একটি সমাদৃত স্থান হবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল