২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাহিরপুরে তথ্য গোপন করে পুলিশে চাকরী : পাল্টপাল্টি অভিযোগ

-

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সিলেট রেঞ্জের কনষ্টেবল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম পুলিশের (নিরস্ত্র) সাব-ইন্সপেক্ট পদে সম্প্রতি চাকরী পেয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি তাহিরপুর উপজেলার আমতৈল নিজ গ্রামের আলী হোসেন কে ব্যবহার করে সাইদুল বিবাহের কথা গোপন রেখে চাকরী পাওয়ার অভিযোগ তুলে আইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে তর্দন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার দাবীও জানান। কিন্তু সাইদুলের পরিবারের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে কনষ্টেবল পদে কর্মরত শফিকুল আলম রুবেল এই অভিযোগ করিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে সাইফুল ও তার পরিবার।
অনুসন্ধানে জানাযায়,সিলেট রেঞ্জের হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ থানার কনষ্টেবল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। বাংলাদেশ পুলিশে তার কনষ্টেবল নং ৭৯৪,বিপি নং ৯১১৩১৬৬৪৮৭৮। ২০১৭সালে বাংলাদেশ পুলিশ ৩৬তম আউট সাইট ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) পরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে তখন সাইফুল তথ্য গোপন করে নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে চাকরীরর জন্য আবেদন করেন। চাকরীর জন্য নির্বাচিতও হয়ে যায়। তার আবেদনে দেওয়া কাজপত্রে তার ঠিকানা সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামে মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের ছেলে ও ঐ এলাকার স্থায়ী বাসিন্ধা হওয়ায় তার বিষয়ে ও কাগজপত্রের সত্যতার যাচাই-বাচাই করার জন্য পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বিশেষ শাখার কাছে ভেরিফিকেশন রির্পোট চাওয়া হয়। এরপর এই দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। তাহিরপুর থানার তর্দন্ত কালে সাইফুল ইসলামের পরিবার কাবিন বা বিয়ে হয়েছে এবিষয়ে ও আশ পাশের স্থানীয় লোকজন তার বিরোদ্ধে কোন অভিযোগ করে নি যার জন্য সহজেই নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ্য করে চলতি বছরের ৭জানুয়ারী তদর্ন্ত প্রতিবেদন নেয়। এই ভেরিফিকেশন রির্পোটের (ভিআর) কারনেই চাকরী হয়।
বিয়ের বিষয়ে কাজী আব্দুল মান্নান বলেন,তাহিরপুর উপজেলা হলহলিয়া গ্রামের কয়লা ব্যবসায়ী আক্তার আলী মেয়ে মোছাঃ সুফিয়া বেগমের সাথে ২০১৭সালে ১০আগষ্ট মাসে বিয়ে হয় নি কথাবার্ত হয়েছিল বিয়ে হবে। তবে বিয়ে হয় নি। আমার কাগজ পত্রে কোন ডকুমেন্ট নেই। এই বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় পুলিশের কার্য্যালয়ে আমাকে ডাকা হয়ে ছিল আমি যা জানি তা বলেছি কাগজ পত্রও দেখেছেন তারা। এই বিষয়ে আলী হোসেন ও শফিকুল আলম রুবেলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
এবিষয়ে সাইদুল বলেন,আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি চাকরীতে যাওয়ার পূর্বে শুধু আন্কটি(স্বর্নের রিঙ্গ)পরানো হয়েছিল। কথা ছিল চাকরীতে যোদানের পর ট্রেনিংয়ের শেষে আয়োজন করেই বিয়ে হবে। কিন্তু আমার চাকরী পাওয়াটা ভাল নজরে দেখেনি আমার পতিপক্ষ পুলিশ কনষ্টেবল পদে কর্মরত শফিকুল আলম রুবেল ১৯২০সিলেট মেট্রোপলিটনে কর্মরত আছে। সে আলী হোসেন কে ব্যবহার করে আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার জীবনটা নষ্ট করার চেষ্টা করছে আমি আমার উর্ধবতন কতৃপক্ষকে বলেছি। এই বিষয়ে সাইদুলর মা জানান,ভর বেশী কষ্ঠ পাইছি বাব্ াআমার ছেলের জীবন নষ্ট করার জন্য এই মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। আমার ছেলের বাবা নেই সবাই মিলে বিয়ের কথা বার্তা শুরু করে ছিল মাত্র কিন্তু এই বিষয়টা কে হাতিয়ার করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)নন্দন কান্তি ধর জানান,আমি সাইফুলের ভেরিফিকেশনের তর্দন্ত করে নি। করেছে আমার অধিনন্থ এক এসআই। আমি স্বাক্ষর করেছি থানার প্রধান হিসাবে। তদর্ন্ত কালে সাইফুলের পরিবার ও প্রতিবের্শী এবং আশপাশের কোন বাড়ির লোকজন কোন অভিযোগ করে নি। পরেও কোন অভিযোগ করেনি। যার জন্য ভেরিফিকেশন রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। বিয়ে হয়েছে বা কাবিন করেছে এমন কোন তথ্য জানতে পারলে বা ঐলাকার লোকজন বললে যা সত্য রির্পোটে তাই দেওয়া হত।


আরো সংবাদ



premium cement