২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ দুই সহোদর নিহত

-

সিলেটের গোলাপগঞ্জে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন চালকসহ দুই সহোদর। গুরুত্বর আহত হয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। আহতকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ফজলুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল অনুমান ১০ ঘটিকায় উপজেলার ফুলবাড়ি ইউপির সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের হেতিমগঞ্জ চৌমুহনী সংলগ্ন মুল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে। নিহতরা হলেন সিএনজি চালক সুরুজ আলী (৪২) ও সহোদর তরমুজ আলী (৪৫)।
ঘটনার পর পরই বিক্ষোব্ধ জনতা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন ও পরবর্তীতে ফের উপজেলা সদর সংলগ্ন আহত সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বাড়ির সম্মুখে বিক্ষোব্ধ জনতা অর্ধঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের আশ্বস্তের প্রেক্ষিতে সড়ক থেকে ব্যারিকেট তুলে নেন বিক্ষোব্ধ জনতা। ঘটনার পরই ঘটনাস্থলেই ঘাতক ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, বুধবার সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউপির সিলেট-জকিগঞ্জ মহাসড়কের হেতিমগঞ্জ চৌমুহনীর অদুরে মুল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা মাত্র সিলেটগামী সিএনজি অটোরিক্সা অনটেস্ট এবং গোলাপগঞ্জগামী ট্রাক মুখোমুখী সংঘর্ষ হলে ট্রাকের চাপায় দুমড়েমুচড়ে যায় অটোরিক্সাটি। এতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান সিএনজি অটোরিক্সা চালক সুরুজ আলী ও সহোদর তরমুজ আলী। দু’সহোদরই ৩ সন্তানের জনক বলে জানা যায়। তাদের বাড়ি উপজেলার গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে।
নিহতরা মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে। গুরত্বর আহত হয়েছেন একই উপজেলার দাড়িপাতন গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। আহত ফজলুর রহমানকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা চালকসহ আহত ৩ জনকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালকসহ সহোদরের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় বিক্ষোব্ধ জনতা ঘাতক ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পৃথক স্থানে প্রায় দুইঘন্টা ব্যাপী সড়ক ব্যরিকেড দিয়ে অবরোধ করে রাখেন। এতে ওই সড়কের দুই দিকে হাজারো যানবাহন আটকা পড়লে ভুগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। পরে পুলিশ ও স্থানীয় গন্যমান্য মুরব্বিদের বিচারের আশ্বস্তের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোব্ধ জনতা। ঘটনার পর পরই ঘাতক ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
এ ব্যপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চালকসহ দুই সহোদরের নিহতের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement