২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রামদার আঘাতে বাবুল মিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

-

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামে হাঁস-মুরগীর বিষয় নিয়ে দু-পক্ষের সংর্ষষে ১০জন আহত হয়। সংর্ঘষে আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংর্ঘষে রামদার আঘাতে গুরুত্বর আহত বাবুল মিয়া সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার অবস্থা খুবেই আশংকাজনক বলে জানা যায়। এঘটনায় ৭জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে আসামী করে রোকন মিয়া বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭,তারিখ ১৬,৭,১৮ইং। এর পরও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না। আসামীরা প্রকাশে চলাফেরা করছে ও বিভিন্ন ভাবে বাদীকে হুমকি দিচ্ছে বাদীকে।

মামলা ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৪জুলাই উপজেলার মানিগাঁও গ্রামে ফারুক মিয়া মিয়া ও রুবেল মিয়ার পরিবারের মহিলারা সকাল ১১টায় ঝগড়া করে। পরে রাত ১০টার সময় রুবেল মিয়া, সবুজ মিয়া, আবুল মিয়া, জলম উদ্দিন, আবু তাহের, জোসনা বেগম সংঘবদ্ধ হয়ে বাড়িতে ফারুক মিয়াকে গালাগালি করে। এক প্রর্যায়ে ফারুক মিয়া বাড়ির বাহিরে গিয়ে গালাগালি নিষেধ করলে তারা তার উপর রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও বাড়িঘর লুটপাট করে নগত ৩ লক্ষাধিক টাকা, স্বর্নসহ মূল্যাবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। হামলা ফারুক পেটের রামদার আঘাত লাগে। সাথে সাথে তার পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন এসে থাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত ডাক্তারগন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

বাদী রোকন মিয়া জানান, আমার ভাইয়ের অবস্থা খুব একটা ভাল না। আমি ন্যায় বিচার চাই। আমার ভাইকে যারা জঘন্যভাবে হত্যার উদ্দ্যেশে হামলা চালিয়েছে তাদের আইনের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি দিতে পুলিশ বাহিনীর সহযোগীতা চাই।

তাহিরপুর থানার মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান জানান,এঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement