২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধলাই নদীর বাঁধ ৩ মাসেই নদীগর্ভে

-

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মণিপুরী অধ্যুষিত হিরামতি গ্রামের ধলাই নদীর বন্যা প্রতিরক্ষার ৮০০ ফুট লম্বা বাঁধটি নতুন ভাবে নির্মিত হওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই ৪০০ ফুট বাঁধটির ফাটলসহ অধিকাংশ চলে গেছে নদী গর্ভে। ফলে হিরামতির বাঁধটি হয়ে উঠেছে চরম ঝুঁকিপুর্ণ। ভারতের পাহাড়ি চল নামলেই বিলিন হবে বাঁধটি। আতংকে দিন কাটাচ্ছেন হিরামতি গ্রামবাসী।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানান, গত কিছুদিন পূর্বে হিরামতি নতুন বাধের কাজ করা হয়, এসময় ঠিকাদার ধলাই নদীর পুরনো বাঁধের ভেতরের অংশের মাটি কেটে নতুন বাঁধ তৈরী করায়,তিন মাস যেতে না যেতেই বাঁধটি চলে গেছে নদী গর্ভে আবারো এ এলাকার মানুষ পড়েছে চরম ঝুঁকির মুখে। যথাসময়ে ধলাই নদীর হিরামতির বাঁধটি স্হায়ী ভাবে (ব্লক) দিয়ে মেরামত না করা গেলে আর নদীর পানি বাড়লেই বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ। কারণ বাঁধটি সামান্য একটু জায়গা বাকি রয়েছে ভাঙ্গতে। টানা বৃষ্টি শুরু হলে যেকোন মুহুর্তে তলিয়ে যেতে পারে মাধবপুরসহ অনেক এলাকা।
নদী ভাঙ্গনের আতংকের মধ্যে ঝুঁকিতে রয়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। যথাসময়ে ধলাই নদীর হিরামতির বাঁধটি স্হায়ী (ব্লকের) ব্যবস্হা করে মেরামত না করা গেলে এখানে বাঁধ দিয়ে কোন লাভ নেই,এখানে স্হায়ীভাবে বাঁধের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ তিন মাস পূর্বে দেয়া ধলাই নদীর বাঁধটি অধিকাংশ নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, আবার পানি বাড়লেই বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ। কারণ বাঁধটি সামান্য অংশ বাকি রয়েছে ভাঙ্গতে। আর বাঁধ ভাঙ্গলে মাধবপুর, ভানুগাছ বাজারসহ কমলগঞ্জ, ও মুন্সিবাজার পর্যন্ত কয়েক হাজার পরিবার বন্যার পানিতে পানিবন্দী সহ চরম দূর্ভোগে পড়বে।
স্থানীয় সাংবাদিক আসহাবুর ইসলাম শাওনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান,পানি উন্নয়ন বোড, মৌলভীবাজার গত তিন মাস আগে হিরামতি এলাকায় প্রায় ৮ শত ফুট লম্বা নতুন বাঁধ দেয়ার তিন মাসের মধ্যেই তা আবার চলে গেছে নদী গর্ভে, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তীকে জানালে, তার নির্দেশে ঠিকাদার হিরামতি বাঁধের পিছনের অংশে কিছু বালুর বস্তা দিয়ে বাধটিকে সাপোর্ট দিয়েছেন। কিন্তু আবার পানি বড়লেই বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। উক্ত স্থানে ব্লকের ব্যবস্হা না করলে স্হায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
আলাপকালে মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, এ ইউনিয়নের হীরামতি, শিমুল তলা, ছয়ছিড়ি,কাটাবিলসহ কমপক্ষে ৭/৮ টি স্থানে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বেশ কিছু অংশ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী রনে›ন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ধলাই ও মনু নদের ওপর সার্বক্ষনিক নজরদারি করছে। ইতিমধ্যে কমলগঞ্জ পৌর এলাকার করিমপুর,মাধবপুর ইউনিয়নের কাটাবিলসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সম্প্রতি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ গুলোর কাজ করা হয়েছে। বাকীগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগে গ্রহণ করা ।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement