বিএনপি থেকে বহিষ্কার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১১ জুলাই ২০১৮, ০৬:৪২
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলাধীন তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা খানকেও একইভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের এখন থেকে তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ না রাখতে অনুরোধ করেছে কেন্দ্র।
আরো পড়ুন :
সিলেটে কামরানের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন
সিলেট ব্যুরো
সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে মির্জাজাঙ্গালস্থ এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।
কার্যালয় উদ্বোধনকালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেসা হকসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের শতাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন :
প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় ছেয়ে গেছে রাজশাহী
রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে মহানগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লা। মেয়র প্রার্থীরা ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছেন সকাল থেকেই। দুপুরের আগেই এদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কার্যালয়। আর দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয় সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের। ফলে পুরো মহানগরী এখন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় নতুন মাত্রা পেয়েছে।
এ দিকে দুপুরের মধ্যে পুরো মহানগরী ছেয়ে গেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামন লিটনের নৌকা প্রতীকের প্রচারপত্রে। মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোর সড়কদ্বীপ, সড়ক বিভাজক ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে শোভা পাচ্ছে নৌকা মার্কার ব্যানার-ফেস্টুন। ঝুলানো হয়েছে পোস্টার। বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে লেমিনেটিং করা পোস্টারও ঝোলানো হয়েছে। নগরীর পাড়া-মহল্লা, অলিগলি সবখানেই নৌকার প্রচারপত্র। এর বাইরে অন্য কোনো প্রার্থীর প্রচারপত্র গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চোখে পড়েনি। ভোটারদের আকর্ষণে দুপুরের পর থেকেই নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে চলছে মাইকিং। প্রতীক নির্ধারিত থাকায় আগেভাগেই প্রস্তুত ছিল সব ধরনের প্রচারপত্র।
সূত্র জানিয়েছে, প্রচারপত্র প্রস্তুত ছিল বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলেরও। তবে নগরীর কোথাও বুলবুলের ধানের শীষের প্রচারপত্র চোখে পড়েনি। চোখে পড়েনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের কাঁঠাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলামের হাতপাখা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোরশেদের হাতি প্রতীকের প্রচারপত্র। মুরাদ মোরশেদ বাদে অন্যদেরও প্রতীক ছিল নির্ধারিত। বেলা সাড়ে ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা শেষে প্রচারণায় নামেন আ’লীগ প্রার্থী লিটন। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাহেববাজার এবং এর আশপাশের এলাকায় প্রচারণা চালান তিনি। এ সময় ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন লিটন। নগরীর উন্নয়নে ভোট চান নৌকা প্রতীকে। বিকেলে নগরীর শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর এলাকায় প্রচারণা চালান। সকাল থেকেই নগরীজুড়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নৌকা প্রতীকের গণসংযোগ করেন।
এ দিকে দুপুরে হজরত শাহমখদুম রহ: মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এ সময় বুলবুলের সাথে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শাফিক, মহানগর যুবদল সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা প্রমুখ নেতারা ছিলেন। দুপুরে নগরীর ৯ নং ও ১২ নং ওয়ার্ডের দরগাপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন বুলবুল। পরে সাহেব বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
এর আগে সকালে নগরীর আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া আল্লামা মুহাম্মদ মিয়া কাসেমী রহ: মাদরাসায় গিয়ে বড় হুজুরের সাথে সাক্ষাৎ করে দোয়া নেন বুলবুল।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় জানায়, প্রথমে সংরক্ষিত আসনের ৫২ নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর প্রতীক পান পাঁচ মেয়র প্রার্থী। দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাধারণ কাউন্সিলর পদের ১৬০ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক দেয়া হয়। যারা একই প্রতীক চেয়েছেন লটারি করে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের।
আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় আরো জানায়, প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না তা দেখভালে মাঠে রয়েছে ১০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি দল। বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ীÑ রাসিক নির্বাচনে মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৩০টি। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড ১০টি। এবার রাসিক নির্বাচনে মোট ভোটার তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩৮টি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, ১৩ জুন থেকে রাসিক নির্বাচনের তফসিল কার্যকর হয়েছে। সেদিন থেকেই ছুটির দিনসহ প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ২৮ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দেয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ ও ২ জুলাই, প্রত্যাহার ৯ জুলাই ও প্রতীক বরাদ্দ ১০ জুলাই নির্ধারিত ছিল। ৩০ জুলাই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা