২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মৌলভীবাজারে আকস্মিক বন্যায় ১২টি গ্রাম প্লাবিত

মৌলভীবাজারে আকস্মিক বন্যায় ১২টি গ্রাম প্লাবিত। ছবি - নয়া দিগন্ত।

টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ২টি স্থানে ভাঙ্গন দিয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ও মুন্সিবাজার ইউপির ৩, ৫, ৭ নং ওয়ার্ড বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়ক ১ ফুট পানিতে নিমজ্জিত। বন্যাদূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ও পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ। অপরদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের আরো ৯টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ধলাই নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। প্রবল বৃষ্টি ও পানিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকাল ৪টায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড করিমপুর নামক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। প্রায় ১০০ ফুট বাঁধ পানিতে তলিয়ে গিয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার করিমপুর, নাগড়া, যোদ্ধাপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। অপর দিকে মুন্সিবাজার ইউপির সুরান্দপুর এলাকায়ও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ২টি ভাঙ্গনে পৌরসভার আংশিক এলাকা ও মুন্সিবাজার ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এর জালালপুর, সুরান্দনপুর, পালিতকোন, বাদে উবাহাটা, সোনাপুরসহ প্রায় ১২টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত। বন্যার পানি কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার প্রধান সড়কে উঠায় সড়কটি ১ফুট পানিতে নিমজ্জতি। যানবাহন খুব ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। বন্যার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহজমুদুল হক ও কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এর আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ।

বন্যান্ত করিমপুর এলাকার মানুষজন পানি উন্নয়ন র্বোডের গাফলতিতে বাঁধ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
কমলগঞ্জে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যবেক্ষক আব্দুল আউয়াল জানান, বিকাল ৫টা পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ২৫ সে:মি: উপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাবে। উপজেলার মাধবপুর, ইসলামপুর কমলগঞ্জ সদর ও আদমপুর ইউনিয়নে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৯টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ জানান, বন্যার পানিতে পৌরসভার ২ শতাধিক মানুষ পানি বন্দি রয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ধলাই নদে পানি বৃদ্ধি ও বাঁধ ভেঙ্গে মানুষজন পানি বন্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বন্যান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি ,উপজেলা প্রশাসন এ দিকে সতর্কতার সাথে নজরদারী করছে। তিনি আরও যেভাবে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে তাতে অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement