২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ধর্মপাশায় ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ

-

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় একাধারে দুই বছর অকাল বন্যায় ফসল হানির হলেও চলতি বছর কৃষকদের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলন হলেও ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বিগত দুই বছর অকাল বন্যা ও শিলা বৃষ্টিতে ইরি-বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও এ বছর কৃষকদের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলন হলেও ধান কাটার ধূম লাগা মাত্রই সিংহভাগ কৃষকদের ধান কাটা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পাড়ি দিচ্ছেন। এমন সময় অভিরাম বৃষ্টির কারনে মাড়াইকৃত ধানের টাল ও কৃষকদের এক বছরের খোরাকের জন্য হাজার হাজার মন সিদ্ধ ধান রোদের অভাবে এসব সিদ্ধ ধান পঁচন ধরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। এবং মাড়াই কৃত ভিজা ধানের টালে নতুন করে চারা গজিয়ে ধানের রং নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অপর দিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অটো মিলার মালিকসহ ব্যাপারি মহাজনরা না আসায় কৃষকরা তাদের উৎপাদনকৃত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ধান-চাল ক্রয় বিক্রয়ের কেন্দ্রস্থল উপজেলার মধ্যনগর বাজার। ওই বাজারে শতাধিক ধানের আড়ত রয়েছে, এসব আড়তে কয়েক শত ব্যাপারি এসে তাদের চাহিদা মুতাবেক ধান ক্রয় করে জাহাজ ও বড় বড় বলগেট নৌকায় ব্যাপারিদের গন্তব্য নিয়ে গেলেও এ বছর ব্যাপারি না আসায় কৃষকরা তাদের উৎপাদনকৃত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। মধ্যনগর বাজারসহ আশপাশের বাজার গুলোতে ধানের আড়ত গুলোতে বি-আর ২৮ ও বি-আর ২৯ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন ধান ৫৫০ টাকা হতে ৬০০টাকা। আর অভিরাম বৃষ্টির কারনে যে, সব ধান শুকানো কারনে ধানের রং নষ্ট হয়েছে এসব ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন ধান ৪০০ টাকা হতে ৪৫০টাকা।
উপজেলার মধ্যনগর এলাকায় এক ধরনের অসাধু ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা নৌকা দিয়ে প্রতিটি গ্রামের বাড়ী বাড়ী গিয়ে কম দামে কৃষকদের ধান ক্রয় করছে। এতেও কৃষকদের ঠকিয়ে পরিমাপে গরমিল করে প্রতি মন ধানে ১০ কেজি করে বেশী নিচ্ছে বলেও কৃষকরা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক মো: সৌয়দ হোসেন তিনি বলেন, বিগত ২০/২৫দিন আগে ১০কিয়ার জমির ধান কেটে মাড়াই দেওয়ার পর ওই দিন থেকেই অভিরাম বৃষ্টি থাকায় ১০কিয়ার জমির প্রায় আড়াই শ মন ধানের টান রোদের অভাবে ধানে পঁচন ধরে ধানের রং নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই ধান এখন ৩০০টাকা মন বিক্রি করা সম্ভব নয়। এছাড়া খোরাকের জন্য ৫০মন ধান সিদ্ধ করেছিলাম কিন্তু রোদ না থাকায় ওই ধানে পঁচন ধরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে।।


আরো সংবাদ



premium cement