২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আক্রমণ থেকে রক্ষা পেল না দিল্লির স্কুল, ৩ দিন পর এলো পুলিশ

- ছবি : সংগৃহীত

গত রোববার থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে ভারতের উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে শুরু হয়েছে সহিংসতা।

জানা গেছে, শিব বিহার অঞ্চলের এক স্কুলে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে ভাঙচুর করে আসবাব ও বইপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই স্কুল থেকেই তারা ওই অঞ্চলের বিভিল্ল এলাকায় হামলা চালায়। স্কুলটিকে তারা ঘাঁটি বানিয়ে রেখেছিল বলে জানা গেছে। ওই স্কুলের পাশেই রয়েছে আরো একটি স্কুল। দুষ্কৃতীরা সেই স্কুল থেকে দড়ির সাহায্যে ওই স্কুলের চত্বরে প্রবেশ করে।

তারপর ব্ল্যাকবোর্ড ভাঙচুর করে আসবাব ও লাইব্রেরিতে আগুন লাগিয়ে দেয় গত সোমবার বিকেলে। শিবসেনা ডিআরপি কনভেন্ট স্কুলের প্রশাসনিক প্রধান ধর্মেশ শর্মা একথা জানিয়েছেন। ওই স্কুলে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী পড়ে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছেঁড়া বইখাতা পড়ে রয়েছে মাটিতে।

ওই স্কুলের পাশের স্কুলটির নাম রাজধানী স্কুল। প্রথমে সেই স্কুলেই হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পাহারাদার ও চালকদের প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয়। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। ওই স্কুলে প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী পড়ে।

স্কুলের মালিক ফৈজল ফারুখ বলেন, ‘সোমবার স্কুলে হামলা চালানো হয়েছিল। ওরা সব কিছু ভেঙে তছনছ করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।’

সোমবার পরীক্ষা দিতে এসেছিল শিক্ষার্থীরা। গণ্ডগোল শুরুর আগেই তারা স্কুল থেকে চলে যায়। স্কুলে ২৫ বছর ধরে রয়েছেন ধর্মেশ শর্মা। তিনি জানান, ‘স্কুলটা জ্বলেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে। দমকল আসেনি। আপাতভাবে তাদের কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশের সাড়া দিতে তিন দিন লেগেছে। তারা গতকাল সন্ধ্যায় এখানে এসেছে।’

উত্তর-পূর্ব দিল্লির শিব বিহার অঞ্চল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল। এখনও পর্যন্ত এই সহিংসতায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩০০-রও বেশি। গত পাঁচ দিন ধরেই চলছে সহিংসতা।

মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির অন্তত তিনটি স্কুলকে টার্গেট বানিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার ব্রিজপুরীতে একটি স্কুলে আগুন লাগানো হয়। ওই স্কুলে ৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়ে। প্রায় চার ঘণ্টা আগুন জ্বলার পর দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়াতে কোনও শিক্ষার্থী স্কুলে ছিল না। এনডিটিভি।


আরো সংবাদ



premium cement