দিল্লিতে সংঘর্ষে অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৩৫
মৃত্যুমিছিল আটকানো যাচ্ছে না ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। বুধবার সকালে আরো ৫ জন নিহত হওয়ার খবর এসেছে সেখান থেকে। তাতে চার দিনের মাথায় দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ২৩-এ। আহতের সংখ্যাও ২০০-র কাছাকাছি।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৩ জন। বুধবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও চার জনকে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এমডি সুনীলকুমার গৌতম। বেলা বাড়লে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। দুপুরে চাঁদ বাগ থেকে এক গোয়েন্দা অফিসারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারপর লোকনায়ক হাসপাতালে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ার পাশাপাশি, এখনও দিল্লিতে সংঘর্ষ অব্যাহত। বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে নতুন করে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয় উত্তর-পূর্ব দিল্লির ব্রহ্মপুরী-মুস্তাফাবাদ এলাকায়। গোকুলপুরীতে একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুধবার দিল্লির জোহরিপুরায় ফ্ল্যাগমার্চ করে পুলিশ। গোকুলপুরীর ভাগীরথী বিহার এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করে সিআরপিএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। সীলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরী-তে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এ দিন দিল্লি পুলিশের তরফে চারটি হাসপাতালে মোতায়েন পুলিশ অফিসারদের ফোন নম্বরও প্রকাশ করা হয়, যাতে আহতদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে খোদ ভারতের রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই তৃতীয়বার দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রথমে সীলামপুরে যান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পরে জাফরাবাদ, মৌজপুর-সহ উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান তিনি। বুধবার দুপুরে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটিকে (সিসিএস) এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেয়ার কথা তার। সূত্র : আনন্দবাজার।