২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুর্বল প্রার্থী কংগ্রেস-বিজেপির

- সংগৃহীত

অনেক চষ্টা করেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে খুব পরিচিত কোনো প্রার্থী দিতে পারলো না বিজেপি বা কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত দুই দলই প্রায় অপরিচিত দুই নেতাকে প্রার্থী করেছে।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়তেই রাজি হলেন না বিজেপি ও কংগ্রেসের পরিচিত মুখেরা। দুই দলই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী দিতে চেয়েছিল। অনেক নেতার সঙ্গে কথাও বলেছিল তারা। কিন্তু কেউ রাজি হননি। শেষে নিরুপায় হয়ে শক্তিশালী প্রার্থী দাঁড় করানোর মনসা থেকে সরে এসে অল্প পরিচিত যুব নেতাদেরই দাঁড় করাতে হয়েছে।

মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এ দিন সকালে বিজেপি জানায়, নয়াদিল্লি কেন্দ্রে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তাদের প্রার্থী হলেন সুনীল যাদব। তিনি হলেন দিল্লি বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি। দিল্লির রাজনীতিতে বিজেপি বা কংগ্রসের যুব মোর্চার ভূমিকা নেই বললেই চলে। তার সভাপতিকেও খুব বেশি লোক চেনেন না। সুনীলের টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা এখন মাত্র সতেরো হাজার।

প্রবীণ সাংবাদিক ও বিজেপি বিশেষজ্ঞ শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন,‘কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিজেপি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিল। শুনেছি, প্রাক্তন আপ নেতা কুমার বিশ্বাসকে তারা প্রার্থী করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। শেষ সময়ে বিনা প্রস্তুতিতে লড়তে অনেকেই উৎসাহ দেখাবেন না এ তো জানা কথা।’

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থীর নাম কংগ্রেস ঘোষণা করে সোমবার রাত এগারোটার পর। প্রার্থীর নাম রমেশ সাবরওয়াল। কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআই এর সভাপতি ছিলেন তিনি। গত কয়েকবার তাকে প্রার্থী পর্যন্ত করেনি কংগ্রেস। সূত্র জানাচ্ছে, শীলা দীক্ষিতের মেয়ে লতিকা দীক্ষিত ও বোন রমা ধাওয়ানকে প্রার্থী করার জন্য কংগ্রেস আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা রাজি হননি।

প্রবীণ সংবাদিক মঞ্জরি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন,‘কংগ্রেসের বড় নেতারা কেউ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়তে রাজি হননি। এখন কংগ্রেস নেতারা বলছেন, তাদের কৌশল হল, বড় কাউকে প্রার্থী করে কেজরিওয়ালকে বেশি গুরুত্ব না দেয়া। আঙুর ফল টক এর মতো ঘটনা।’

আপ মুখপাত্র ও বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজের প্রতিক্রিয়া,‘বিজেপি তো কেজরিওয়ালের কছে কার্যত আত্মসমর্পন করে দিল।’

শরদ গুপ্তা মনে করছেন,‘২০১৩ তে কেজরিওয়াল হারিয়েছিলেন শীলা দীক্ষিতকে। ২০১৫তে তিনি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন। এই অবস্থা দেখে বড় কোনও প্রার্থী সম্ভবত লড়তে চাননি। গতবার কিরণ বেদীর উদাহরণও আছে। শেষ সময়ে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিজেপির নেতৃত্ব হাতে নিয়ে তিনি গোহারা হেরেছিলেন।’

আপ মনে করছে, কেজরিওয়ালকে অন্তত নিজের কেন্দ্রে প্রচারের জন্য খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। স্ত্রী ও মেয়ের হাতে প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে তিনি অন্য কেন্দ্রে দলের প্রার্থীকে জেতাতে ঝাঁপাতে পারবেন। নিজের কেন্দ্রে তার জয় নিয়ে খুব বেশি আলোচনারও অবকাশ থাকল না।


আরো সংবাদ



premium cement
‘১ টাকার কাজ ১০০ টাকায়, ৯৯ যায় মুজিব কোটে’ রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায় ইরান নিয়ে মার্কিন হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে গাজায় গণকবরের বিষয়ে ইসরাইলের কাছে ‘জবাব’ চেয়েছে হোয়াইট হাউস দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি শনিবার থেকে শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তত জবি ক্যাম্পাসগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন বাইডেন: মুখপাত্র নোয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ

সকল