২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি জোট ছাড়ল দুই দল

- সংগৃহীত

ভারতের দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপি জোট ত্যাগ করল শিরোমণি অকালি দল (এসএডি) এবং জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)। পুরোনো দুই জোটসঙ্গী গেরুয়া শিবির ত্যাগ করায় বিজেপি’র পক্ষে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সোমবার অকালি দলের নেতা মনজিন্দর সিং শীর্ষা বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ‘এনআরসি’ বিরোধী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ‘সিএএ’ নিয়ে আমাদের নিজেদের অবস্থান পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, আমরা তাতে রাজি হইনি। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন থেকে ‘মুসলিমদের’ বাদ দেয়া যাবে না।’

অন্যদিকে, জেজেপির পক্ষ থেকে জোট ত্যাগ করার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু এক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় ঐক্যমত না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে জোট ত্যাগ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণা হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন।

দিল্লিতে, বর্তমান ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (আপ) সঙ্গে বিজেপির সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দিল্লিতে একসময় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসও ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ৭০ টি আসনের সবকটিতেই জয়ের দাবি করেছেন। সিসোদিয়ার মতে, বিজেপি ও কংগ্রেস কোনও প্রতিযোগিতায় নেই।

‘আপ’ নেতা মনীশ সিসোদিয়া বিজেপি-কংগ্রেস সম্পর্কে বলেছেন, কারও সাথে আমাদের কোনও প্রতিযোগিতা নেই। উভয়পক্ষের দ্বারা শাসিত অন্য রাজ্যে করা কাজগুলো মানুষের বিবেচনা করা উচিত। সেসব জায়গায় বিদ্যুতের দাম বেশি।পড়াশোনাও খুব ব্যয়বহুল।’

তিনি বলেন, দিল্লিতে বিজেপির নেতারা বলছেন, তাদের সরকার গঠন হলে তারা বিদ্যুৎ ও পানির ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করবে। তারা পাবলিক বাসে নারীদের বিনামূল্যে ভ্রমণ সুবিধা প্রদান বন্ধ করবে। লোকেরা সেজন্য তাদের পছন্দ করছে না, তাই তারা প্রতিযোগিতায়ও নেই।’

‘বিজেপি নেতাদের বক্তব্যেই প্রমাণ যে তারা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা আরও জানেন যে কেজরিওয়াল ক্ষমতায় ফিরতে চলেছেন’ বলেও দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া মন্তব্য করেছেন। সূত্র : পার্সটুডে।


আরো সংবাদ



premium cement