২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘কেরলে কেউ খাবারের সাথে ধর্ম মেশায় না’

কে সুরেন্দ্রন - ছবি : সংগৃহীত

মকর সংক্রান্তির দিন বিফের একটা পদ টুইটারে শেয়ার করেছিল ভারতের কেরলের পর্যটন দফতর। সরকারি পেজে ওই পদ শেয়ার করে নিচে রেসিপি উল্লেখও করা হয়েছিল। এই টুইট ঘিরেই ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে কেরলের কমিউনিস্ট সরকার; এমন অভিযোগ করেন নেটিজেনরা। সেই বিতর্কে পানি ঢালতে এবার উদ্যোগী হলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী।

‘কোনো ধর্মের বিশ্বাসকে আঘাত করা কেরল সরকারের অভিসন্ধি না,’ এ কথা শুক্রবার স্পষ্ট করলেন কেরলের পর্যটন মন্ত্রী কে সুরেন্দ্রন।

জানা গেছে, তার দফতরই সেদিন ওই বিফ রেসিপি সোশাল সাইটে ছেড়েছিল। তাই এগিয়ে এসে ওই মন্ত্রী বলেছেন, কেরলে খাদ্যের সাথে ধর্মের কোনো যোগ নেই। সেদিন ওই রাজ্যের পর্যটন দফতর টুইটারে যে ছবি শেয়ার করেছিল তাতে লেখা ছিল, কুচি কুচি করে কাটা গরুর গোশত, লবণ-মরিচ, পেঁয়াজ, মশলা দিয়ে হালকা করে ভাপানো। সাথে নারকেল কুচি ও কারি পাতা দেয়া। বিফ উলারথিয়াতু, রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। স্বাদের ভূমি থেকে আপনাদের জন্য এখানে দেয়া হলো।

এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। গরুর গোশতের প্রচার কেন? প্রশ্ন তোলেন একাধিক নেটিজেন! উদুপির বিজেপি সাংসদ শোভা কারান্ডলাজে আবার একধাপ এগিয়ে বলেছেন, মকর সংক্রান্তির দিন গো-মাংসের প্রচার করে কেরল সরকার সে রাজ্যের হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে কেরলের কমিউনিস্ট সরকার।

যদিও সে রাজ্যের পিনরাই বিজয়ন সরকার অভিযোগ খারিজ করে বলেছে, ‘ভিত্তিহীন বিতর্ক’।

এই বিষয়কে সাম্প্রদায়িক চোখে দেখা নিন্দনীয় বলেই দাবি করেছেন কে সুরেন্দ্রন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যারা এই বিতর্কে সাম্প্রদায়িক রঙ ঢালছেন, তারা বলছেন শুকরের মাংসের ছবি দিতে। আমাদের ওয়েবসাইটে সেই ছবিও আছে। ওরা হয়তো সেটা দেখেননি। বিফ মানে মহিষের গোশতও। কিন্তু অনেকে সেটা চেপে গিয়ে গরুর গোশত বলে প্রচার করেন।’ তার দাবি, ‘বিফ, পর্ক কিংবা মাছ, যে পদই হোক পর্যটকরা বেশ পছন্দ করেন। সারা ভারতে আমাদের রাজ্য বেশি পর্যটক-বান্ধব। তাই পর্যটনের প্রচারে আমরা খাবারের পাশাপাশি আরো অনেক কিছুর প্রচার করে থাকি।’

সূত্র : এনডিটিভি


আরো সংবাদ



premium cement