২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পচা পেঁয়াজের প্যাঁচে ভারত

- সংগৃহীত

পেঁয়াজ নিয়ে মহা সমস্যায় ভারত। বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছে দেশটি। কিন্তু ভারতের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে না। অগত্যা ভারত এখন সেই পেঁয়াজ এখন গছানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে।

যে পেঁয়াজ নিয়ে দু’দিন আগেও দেশ জুড়ে চরম সংকট তৈরি হয়েছিল, এখন সেই পেঁয়াজ নিয়েই অস্বস্তিতে ভারত সরকার। বিদেশ থেকে প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যগুলো সে পেঁয়াজ কিনতে চাইছে না। অগত্যা বাংলাদেশকে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করে ক্ষতি বাঁচানোর চেষ্টা করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় এক সরকারি এক কর্মকর্তার বক্তব্য, দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের হাই কমিশনার রকিবুল হকের কাছে পেঁয়াজ বিক্রির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে ভারত সরকার। তবে বাংলাদেশ সেই পেঁয়াজ কিনবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষি চলছে বলে জানা গেছে।

এ বছর ভারতে পেঁয়াজের ফলন ভাল হয়নি। মহারাষ্ট্রে অকাল বৃষ্টি এবং খরার কারণে প্রচুর পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। ফলে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে পেঁয়াজের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে। এক সময় তা পৌঁছে যায় ১৫০ টাকায়। পরিস্থিতি বুঝে দু’টি সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এক, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি রাতারাতি বন্ধ করা হয় এবং দুই, পার্শ্ববর্তী দেশগুলি থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বাণিজ্য বিষয়ক প্রবীণ সাংবাদিক জোসেফের বক্তব্য,‘ভারত মূলত আফগানিস্তান, তুরস্ক এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে পেঁয়াজ কিনেছিল। এই ধরনের পেঁয়াজের দাম বেশ কম। মানও খারাপ। প্রতি ম্যাট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত কিনেছিল ৬০০ থেকে ৭০০ মার্কিন ডলারে। কিন্তু ভারতের বাজার সেই পেঁয়াজ নেয়নি। ক্রেতাদের বক্তব্য, ওই পেঁয়াজের স্বাদ অত্যন্ত খারাপ।’ ফলে রাজ্যগুলো কেন্দ্রের কাছে পেঁয়াজের যে চাহিদা পাঠিয়েছিল, বাজার বুঝে তা ফিরিয়ে নেয়।

দেশের ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, আসাম, হরিয়ানা এবং কর্নাটক কেন্দ্রের কাছে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ চেয়েছিল। কিন্তু পরে তা নেয়নি। সরকার এই পেঁয়াজ রাজ্যগুলির কাছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল। রাজ্য সরকারগুলি বাজারে তা বিক্রি করছিল ৭০ টাকায়। কিন্তু রাজ্যগুলি পিছিয়ে আসায় এখন এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রায় ১৮ হাজার ম্যাট্রিক টন পেঁয়াজ পড়ে আছে ভারতের মুম্বাই বন্দরে। খুব দ্রুত তা চালান করতে না পারলে সরকারের বড়সড় আর্থিক ক্ষতি হবে। সে জন্যই বাংলাদেশকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৫০০ থেকে ৫৫০ ডলারে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

সমস্যা হল, বাংলাদেশ বহুদিন ধরেই ভারতের থেকে পেঁয়াজ নেয়। এ বছর আচমকা ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছিলেন, এভাবে আচমকা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় তার দেশ সমস্যায় পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের বিষয়টি আগে থেকে বলা উচিত ছিল। কিন্তু গত তিন মাসে চীন এবং নেপাল থেকে পেঁয়াজ নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এখন ভারত আচমকা এত পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চাওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বাংলাদেশ সরকার। সবচেয়ে বড় কথা, খারাপ মানের পেঁয়াজ বাংলাদেশ আদৌ নেবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। যদিও সূত্র জানাচ্ছে, বাংলাদেশ বিষয়টিকে একেবারে ফেলে দেয়নি। বরং দরকষাকষির দিকেই তারা এগোচ্ছে। পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাও ভারতকেই করতে হবে, এমন শর্তও দেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানাচ্ছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল