২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হার, সরকার গঠন করছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত সোরেন - ছবি : এনডিটিভি

ভারতের ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর জোট। সোমবার, ভোট গণনার শুরু থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে কঠিন লড়াই শুরু হয়েছিল। কিন্তু, বেলা যত গড়াতে থাকে ততই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকেই ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। আর তাতেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যায় পালাবদলের ইঙ্গিত।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪১। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেএমএম-কংগ্রেস জোট পেয়েছে ৪৭টি আসন। বিজেপির ঝুড়িতে পড়েছে ২৫টি আসন।

এ দিন ফলাফল স্পষ্ট হতে শুরু করার সাথে সাথেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই জোট শিবিরের উল্লাসের ছবি দেখা গেছে। কোথাও জেএমএম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে যায়। আবার কোথাও বাজি পোড়াতে শুরু করেন কংগ্রেস ও জেএমএম সমর্থকরা। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলোর বেশির ভাগই এ বার বিজেপির থেকে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটকেই এগিয়ে রেখেছিল। রাজ্যের একক গরিষ্ঠ দল হওয়ার পথে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম।

এখনো পর্যন্ত যা খবর, তাতে ফের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন। জয়ের পর রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেমন্ত। পাশপাশি জোটসঙ্গীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন।

২০০০ সালে গঠিত ঝাড়খণ্ড রাজ্য গত মাসেই ২০ বছরে পা দিয়েছে। এটি রাজ্যের চতুর্থ বিধানসভা নির্বাচন। এ দিন সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাথে জোট থেকে শিবসেনা সরে যাওয়ায় ক্ষমতা থেকেও সরতে হয়েছে বিজেপিকে। আয়তনে অনেক ছোট হলেও ঝাড়খণ্ডে শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হয় সে দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশেরই।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেন নিজেও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এ বার ফের জিতেছেন তিনি। বারহাইত কেন্দ্র থেকে জয়ী ঘোষণা হয়েছেন তিনি।

জামশেদপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। কিন্তু এ বার তিনি হেরে গিয়েছেন।

চক্রধরপুর কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি লক্ষণ গিলুয়া।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বেরোনো ফলে বিজেপি জিতেছিল ৩৭ আসনে। জোটসঙ্গী আজসু পেয়েছিল পাঁচটি আসন। ম্যাজিক ফিগারের থেকে একটি আসন বেশি ছিল জোটের। কিন্তু ২০১৫-র গোড়াতেই জেভিএমের ছয় বিধায়ক বিজেপিতে চলে আসার পর, বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায় বিধানসভায়। ঝাড়খণ্ডের ইতিহাসে সেই প্রথম, বিধানসভায় একা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় কোনো দল। এবং এই প্রথম কোনো একজন (রঘুবর দাস) টানা পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে থেকে মেয়াদ শেষ করলেন।

রাজ্য গঠনের পর থেকেই ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অচলাবস্থা বারংবার ফিরে এসেছে। জোট ভেঙেছে। নতুন জোট হয়েছে বার বার। তিন বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। ২০ বছরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৬ জন। কেউ কেউ দু’বার। মোট ১০ বার শপথ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীদের। কিন্তু রঘুবরের আগে কোনো মুখ্যমন্ত্রী আড়াই বছর পর্যন্তও টিকে থাকতে পারেননি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভি


আরো সংবাদ



premium cement
‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সংবিধান বিরোধী নয় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুরের ইন্তেকাল থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের

সকল