২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

“নেহেরুই সবচেয়ে বড় ধর্ষক ছিলেন”, মন্তব্য সাধ্বী প্রাচীর

“নেহেরুই সবচেয়ে বড় ধর্ষক ছিলেন”, মন্তব্য সাধ্বী প্রাচীর - ছবি : সংগৃহীত

যত দোষ জওহরলাল নেহেরুর। প্রাচীন প্রবাদের মতোই বর্তমান বিজেপির শাসনকালে নেহেরুকে দোষ দেয়াটা যেন একটা মিথে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক অচলাবস্থা থেকে শুরু করে সীমান্তে উত্তেজনা পর্যন্ত, সব কিছুর পিছনেই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দোষ দেখতে পান গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীরা। অন্তত, কংগ্রেস শিবিরের এমনটাই অভিযোগ। এবার আরও এক কাঠি উপরে উঠে দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের জন্যও নেহেরুকে দায়ী করলেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। প্রকারন্তরে নেহেরুকে বললেন, ‘সবচেয়ে বড় ধর্ষক’।

হায়দরাবাদ থেকে শুরু করে উন্নাও, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্তার মতো ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসছে। সে অর্থে বলতে গেলে, এসব নিয়ে নীরব সরকার। নারী সুরক্ষা নিয়ে সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও। এ প্রসঙ্গে শনিবারও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “বিশ্বের কাছে এখন ভারতের পরিচয় ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে। বিদেশিরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন ভারত নিজের মেয়ে ও বোনেদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। উত্তরপ্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণের অভিযুক্ত। কিন্তু, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনো একটা শব্দও বললেন না। আসলে আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, যিনি নিজেই ঘৃণা ও হিংসার আদর্শে বিশ্বাসী।”

রাহুল গান্ধীর সেই মন্তব্যের পালটা দিতে গিয়েই রোববার তার পূর্বসূরি জওহরলাল নেহেরুকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। তিনি বলছেন, “সন্ত্রাস, নকশালবাদ, দুর্নীতি এবং ধর্ষণ, নেহেরুরই দেয়া উপহার। রাহুল গান্ধী আর কী বলবেন। আমাদের দেশটা হলো রাম আর কৃষ্ণের দেশ। আর এই দেশের সবচেয়ে বড় ধর্ষক ছিলেন নেহেরু। ও আমাদের রাম এবং কৃষ্ণের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

বিজেপি তথা উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর নেহেরু বিদ্বেষ অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার একাধিক ইস্যুতে নেহেরুকে দোষারোপ করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীরা। কিন্তু, এতটা মাত্রা বোধ হয় আর কেউ ছাড়াননি।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল