২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সব অনুপ্রবেশকারীকে ২০২৪ সালের মধ্যেই তাড়াব : অমিত শাহ

অমিত শাহ - ফাইল ছবি

‘২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশে এনআরসি হবেই। প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে বের করে দেশ থেকে তাড়াব।’ সোমবার ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় হুঁশিয়ারির সুরে এমনটাই বললেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি আরো বলেন, ‘রাহুল বাবা (কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী) বলছেন, ওদের তাড়িয়ে দেবেন না। ওরা কোথায় যাবে, কী খাবে? কিন্তু, আমি সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই, ২০২৪ সালে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে।’ এদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ যাই বলুন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না বলে ফের জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার ঘনিষ্ঠ মহলে এই বার্তাই দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেও পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে সারা দেশে এনআরসি কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তা নিয়ে পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাইরে তুমুল বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিরোধীদের তোপে পড়ে বিজেপিও। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রত্যেকটিতেই শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছে বিজেপি। এর জন্য এনআরসি নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থানকেই দায়ী করেছিলেন বিজেপির বেশ কিছু রাজ্য নেতা। বিরোধ সত্ত্বেও, গেরুয়া শিবির যে এই ইস্যুতে কোনোভাবেই পিছু হটতে নারাজ, অমিত শাহের আজকের কথাতেই তা পরিষ্কার।

সোমবার, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন না মাওবাদ, কোন পথে হাঁটবে ঝাড়খণ্ড, তা আপনাদের ভোটই ঠিক করে দেবে।’ এদিন প্রচারে সার্জিকাল স্ট্রাইক ও বালাকোটে বিমান বাহিনীর প্রত্যাঘাতের কথাও উল্লেখ করেন অমিত শাহ। তার কথায়, যেসব জওয়ান দেশের সীমান্তকে রক্ষা করছেন, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ ঝাড়খণ্ডের। এই রাজ্যের মানুষ চান, সন্ত্রাসবাদ ও মাওবাদ একেবারে শেষ হয়ে যাক। একইসঙ্গে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি, বালাকোটে বিমান বাহিনীর প্রত্যাঘাত ও সার্জিকাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে উগ্রবাদীদের কড়া জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে সন্ত্রাসবাদ, মাওবাদী সমস্যা, রামমন্দির ইস্যুকে হাতিয়ার করছে বিজেপি। সোমবার, সেকথা সোজাসাপ্টা ভাষায় জানিয়ে দেন অমিত শাহ। তার মতে, স্থানীয়দের কাছে উন্নয়নের মতোই সন্ত্রাসবাদ, মাওবাদকে নির্মূল করা ও রামমন্দিরের মতো বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন, রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায় উল্লেখ করে কংগ্রেসের সমালোচনাও করেছেন বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর দল এই মামলায় শুনানি বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু, মানুষের সমর্থন নিয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। শেষে, সর্বোচ্চ আদালত রামমন্দির তৈরির পক্ষেই রায় দিয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে জোট গড়েছে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে তিন দলকেই একযোগে আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ। বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছিল। এখন মুখ্যমন্ত্রিত্বের লোভে সেই কংগ্রেসের কোলেই বসে আছেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের নেতৃত্বে রাজ্যে ‘উন্নয়নের গঙ্গা বইছে’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement