২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জম্মু-কাশ্মিরকে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সাথে তুলনা করে ভারতীয় কূটনীতিকের বক্তব্যে নয়া বিতর্ক

কাশ্মিরকে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সাথে তুলনা করলেন ভারতীয় কূটনীতিক - ছবি : এনডিটিভি

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের বিষয়ে মোদি সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের সাথে তুলনা করলেন এক ভারতীয় কূটনীতিবিদ। নিউ ইয়র্ক সিটিতে ভারতীয় দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে সন্দীপ চক্রবর্তী নামে ওই কূটনীতিকের মন্তব্য নিয়ে নয়া বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।

এর আগে এমন প্রসঙ্গ উঠেছিল যে, ভারত ইসরাইল ও ফিলিস্তিনকে নকল করেই কাশ্মির নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তুলনাকে খারিজ করে দিয়ে ওই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।

নিউইয়র্কে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে কাশ্মিরি পণ্ডিতদের প্রসঙ্গে কূটনীতিক সন্দীপ চক্রবর্তীকে বলতে বলা হলে তিনি কাশ্মিরি সংস্কৃতিকে ‘হিন্দু সংস্কৃতি’ বলে মন্তব্য করেন এবং তিনি এও প্রতিশ্রুতি দেন যে, বিতাড়িত কাশ্মিরি পণ্ডিতরা খুব তাড়াতাড়ি কাশ্মিরে ফিরে আসতে পারবেন। বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিশ্বে এ ধরণের ঘটনার উদাহরণ আছে ... ইসরাইলিরা যদি এটি করতে পারেন ... ’।

যদিও তার এই মন্তব্য নিয়ে মুখ খোলেনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

‘কেউ (শ্রোতাদের মধ্যে) ইহুদি ইস্যু সম্পর্কে ... ইসরাইলের ইস্যু সম্পর্কে নানা কথা বলেছেন ... তারা তাদের সংস্কৃতিকে তাদের দেশের বাইরেও দুই হাজার বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আমি মনে করি, আমাদেরও কাশ্মিরি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কাশ্মিরি সংস্কৃতি হল ভারতীয় সংস্কৃতি ... এটি হিন্দু সংস্কৃতি, বলেন সন্দীপ চক্রবর্তী। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কেউ কাশ্মির ছাড়া ভারতের কল্পনাও করতে পারি না’।

ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বলছেন যে, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমার জীবদ্দশায় আমাদের জমি ফিরে আসবে এবং আমাদের লোকেরা সেখানে ফিরে যাবে। আমাদের কাশ্মিরি ভাইরা শরণার্থী শিবিরে বাস করছেন ... তারা অবশ্যই নিজের জায়গায় ফিরে যেতে পারবেন’।

‘ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে আমাদেরই মতো এরকম উদাহরণ রয়েছে ... ইসরাইলের মানুষ যদি এটি করতে পারেন ...’ বলতে শোনা যায় তাকে।

গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ফিলিস্তিনিদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

পাকিস্তান যেভাবে বিশ্বের দরবারে কাশ্মির সমস্যা উত্থাপন করার চেষ্টা করেছিল, তা নিয়েও নিজের ভাষণে কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় ওই ভারতীয় কূটনীতিককে। ওই ভিডিওটির প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইট করে মিডল ইস্ট আই’র একটি ঘটনার সূত্র শেয়ার করেন।

পাকিস্তানের নাম না করে ওই কূটনীতিক বলেন যে, ‘কিছু মানুষ এই সিদ্ধান্ত (৩৬০ অনুচ্ছেদ বাতিল) নিয়ে আমাদের উপর বিরক্ত হয়েছেন ... মানবাধিকার কাউন্সিলে, মার্কিন কংগ্রেসে এ বিষয়টি উত্থাপন করেছেন... আমার মত হল, তারা সিরিয়া বা ইরাক বা আফগানিস্তানে গিয়ে ফটো তোলেন না কেন? কেন এখানের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন?’

কাশ্মিরে সন্ত্রাসবাদ ও হানাহানি প্রসঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ‘আমরা জীবনের ভয়ে সেখানে যাব না? এবার দেখবেন এই ভয় চলে যাবে। আমাদের কিছুটা সময় দিন’।

সূত্র : এনডিটিভি


আরো সংবাদ



premium cement