২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অবরোধে কাশ্মিরে আর্থিক ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

অবরোধে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন কাশ্মিরের ব্যবসায়ীরা - ছবি : রয়টার্স

কেন্দ্রীয় সরকারের অবরোধে ভারতশাসিত কাশ্মিরের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন কাশ্মির চেম্বার অব কমার্স (কেসিসিআই)।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করারও পরিকল্পনা করছে কেসিসিআই।

গত আগস্টে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে উপত্যকাটিকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ঘরে-বাইরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখে কেন্দ্রীয় মোদি সরকার।

গত ৫ আগস্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মিরের সাংবিধানিক মর্যাদা বিলুপ্ত করে এলাকাটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ পদক্ষেপ কাশ্মীরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে সে সময় নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।

বিজেপি সরকারের সেই আশ্বাসকে ‘চাতুরি’ আখ্যা দিয়েছে কেসিসিআই।

দীর্ঘদিন ধরে হিমালয়ের এ অঞ্চলটিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখার প্রতিবাদে ও বিদ্রোহীদের হামলার আশঙ্কায় বাসিন্দারা তাদের বাজার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে রেখেছে বলেও জানিয়েছে উপত্যকার এ প্রধান ব্যবসায়িক সংগঠনটি।

কেসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নাসির খান জানিয়েছেন, তাদের অনুমানে সেপ্টেম্বর পর্যন্তই অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ১০ হাজার কোটি রুপি ছিল (১৪০ কোটি ডলার)। ক্ষতির অংক এখন আরো বেড়েছে বলে ধারণা তার।

টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে রাখায় কেসিসিআই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে কথা বলে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

টেলিযোগাযোগের বদলে সংগঠনটিকে ব্যবসায়ীদের কাছে কর্মী পাঠিয়ে তথ্য যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেসিসিআইয়ের এ দাবি প্রসঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আগস্টে কাশ্মিরের মর্যাদা তুলে নেয়ার আগে থেকেই টেলিফোন যোগাযোগ বন্ধের পাশাপাশি নিরাপত্তা সঙ্কটকে কারণ দেখিয়ে ভারত উপত্যকাটিতে পর্যটকদের ভ্রমণে লাগাম টানে। আগে থেকেই সেখানে সামরিক বাহিনীর বিপুল সদস্যের উপস্থিতি থাকলেও পরে আরো সেনা পাঠানো হয়।

কাশ্মিরের মর্যাদা তুলে নিয়ে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সময় থেকে যে নানান বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছিল, পরের দিকে একে একে তার অনেকগুলো তুলে নেয়া হলেও উপত্যকাটির ইন্টারনেট সংযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মির নিয়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে জড়িয়েছে। উভয় দেশ উপত্যকাটির পৃথক পৃথক অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement